মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দাতুক সেরি এম. সারাভানানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম। বৈঠকে ছুটিতে থাকা বাংলাদেশি কর্মীদের কাজে যোগদান, অবৈধদের বৈধতা প্রদান, শ্রম কল্যাণ এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি করোনা পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাংলাদেশি কর্মীকে নিজ দেশে ফেরত না পাঠিয়ে নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের সুযোগ প্রদান করায় ধন্যবাদ জানান।
হাইকমিশনার বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশি কর্মীদের বেতন প্রদান, ছাটাই না করা এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি করোনা নিয়ন্ত্রণের সফলতার জন্য মালয়েশিয়া সরকারের প্রশংসা করেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশে দৃঢ়তার সাথে করোনা মোকাবেলায় নেতৃত্ব প্রদান এবং বিদেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিশেষ আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
হাইকমিশনার মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে ছুটিতে যাওয়া বাংলাদেশি কর্মী যাদের ভিসা আছে এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের সকলকে কাজে যোগাদানের জন্য মালয়েশিয়া প্রবেশের অনুমতি প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। সে প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন ছুটিতে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা যাতে কাজে যোগ দিতে পারে সে বিষয়ে সরকার শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানাবে।
হাইকমিশনার মালয়েশিয়ায় থাকা (ডিটেনশন সেন্টার এবং বাইরে) অবৈধ কর্মীদের বিশেষ করে বাংলাদেশি কর্মীদের বৈধতা প্রদানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে মন্ত্রী বলেন অবৈধদের বৈধতা প্রদানের জন্য মালয়েশিয়া সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন বাংলাদেশের কর্মীরা অনেক পরিশ্রমী, দক্ষ এবং আন্তরিক। তারা মালয়েশিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এসকল কর্মীদের কল্যাণমূলক সুরক্ষা প্রদান করা হবে। নিয়োগকর্তারা যাতে বিদেশী কর্মীদের সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ, যথাযথ আবাসন এবং নিয়মিত বেতন নিশ্চিত করে সে সকল বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করেছে। তিনি বলেন, বিদেশী কর্মীদের সার্ভিস বেনিফিট প্রদান করা হবে এবং সেভিংসের ব্যবস্থা করা হবে যাতে একেবারে শূন্য হাতে নিজ দেশে ফিরে না যায়। হাইকমিশনার বিদেশী কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল দাতো জামিল বিন রাকন এবং হাইকমিশনের লেবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, লেবার কাউন্সিলর ২ মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।