/ ট্রাম্পের অভিবাসননীতির ফাঁদে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী গ্রেফতার
মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ০৫:২০:৪১ পূর্বাহ্ন
ট্রাম্পের অভিবাসননীতির ফাঁদে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী গ্রেফতার
জামাল। বাসা থেকে বের হতেই তার পথরোধ করে দেয়া হয়।
জামাল যখন তার তিন সন্তান ও স্ত্রীকে বিদায় জানাচ্ছিলেন, তখন তার বাসার কাছের বাগানের সামনে অবস্থান নেন অভিবাসন ও শুল্ক বাহিনীর (আইসিই) কর্মকর্তারা। এর পর তাকে আটক করে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজ্ঞানী ও কমিউনিটি নেতা জামালকে গ্রেফতার করায় বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীরা ব্যথিত হন। ৩০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর তিনি কানসাসের এই শহরাঞ্চলেই বসবাস করছিলেন। এ জন্য স্থানীয়দের মাঝে তিনি বেশ জনপ্রিয়। জামালের ১৪, ১২ ও ৭ বছর বয়সের তিন সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তার পাঁচ ভাইবোনের সবাই যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।
তার পরিবার জানায়, স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া জামাল একসময় এইচ-ওয়ানবি ভিসায় সেখানে কাজ শুরু করেন। বিদেশ থেকে দক্ষকর্মী নিতে যুক্তরাষ্ট্র এ ভিসা দেয়। পিএইচডি ডিগ্রির সময় তিনি ফের স্টুডেন্ট ভিসা নেন।
আটকের সময় তার সাময়িক কাজের অনুমতি ছিল। তিনি কানসাস সিটির পার্ক ইউনিভার্সিটির রসায়নের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতলে তিনি গবেষণা করছিলেন।
২০১১ সালে একবার জামানলে ভিসা বাতিল হলে বিচারক তাকে স্বেচ্ছা প্রস্থানের নির্দেশ দেন। কিন্তু পরে তাকে নজরদারিতে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি দেয়। ওয়ার্ক পারমিট রক্ষা করতে প্রতিবছর আইসিই'র কাছে রিপোর্ট করার ভিত্তিতে তাকে থাকতে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন অভিবাসননীতিতে নজরদারিতে থাকার ওই নিয়মে দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের ওপর খড়গহস্ত হন। ২৫ লাখ মার্কিন অভিবাসী এ শ্রেণিতে পড়েন। তাদের ৮০ শতাংশ কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক বিবৃতিতে আইসিই কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় ও জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে, তাদের ওপর এখন নজর দেয়া হচ্ছে।
জামাল এমন কিছু করেছেন, যাতে তাকে সন্দেহ করা যেতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এক কর্মকর্তা বলেন, বিতারণ করা যায় এমন কোনো শ্রেণি কিংবা বৈশিষ্ট্যকে ছাড় দেয়া হবে।