লন্ডনের চ্যানেল২৪’র সাংবাদিক ডেইজিকে করা মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকী।
ডেইলি মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের চ্যানেল ফোর’এর গর্ভবতী সাংবাদিক ডেইজি এইলেফের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে টিউলিফ সিদ্দিকী বলেছেন, আমি আমার বক্তব্যের জন্যে ক্ষমা চাচ্ছি। টিউলিপ বলেন, হঠাৎ করেই আমাকে অপদস্ত করার জন্যে চটজলদি অপচেষ্টা করার সময় আমি এক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়ে যাই। আমি তাকে বিরক্ত করতে চাইনি এবং আমি আশা করছি ডেইজি আমাকে ক্ষমা করবেন।
টিউলিপ বিবৃতিতে আরো বলেন, আমি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেছি ও ব্রিটিশ সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করছি। হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করেছেন তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে। এটা সত্যি যে আমার পরিবারের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত যা দীর্ঘদিন ধরে সকলেই জানে এবং বিষয়টি কখনো আমি লুকাইনি। তবে বাংরাদেশের রাজনীতিতে কোনো প্রভাব সৃষ্টি করার ইচ্ছা বা দক্ষতা আমার নেই।
তবে টিউলিপের ওই বক্তব্যের জন্যে লেবার পার্টির কাছে তার বিরুদ্ধে চ্যানেল ফোর’এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। চ্যানেল ফোর’এর রিপোর্টার এ্যালেক্স থমসন, ক্যামেরাম্যান ও সাংবাদিক ডেইজি এইলিফ টিউলিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এলাকায় ইরানে আটক ব্রিটিশ নারীর মুক্তির দাবিতে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন টিউলিপ। এসময় যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর-এর সাংবাদিক ডেইজি ২০১৬ সালে জামায়াতে ইসলামী নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাসেমকে বাংলাদেশে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেন এবং এ ব্যপারে টিউলিপ কোন সহযোগিতা করতে পারবেন কি-না চানতে চান।
তবে, এ ঘটনায় প্রতিউত্তরে টিউলিপ ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘আমি হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্ন এর এমপি, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একজন সদস্য। যে ব্যক্তির কথা বলছেন তার মামলা সম্পর্কে আমি জানি না।’ এসময় ওই সাংবাদিকে প্রশ্ন করায় সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন টিউলিপ।
এসময় যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর-এর সাংবাদিক ডেইজির সঙ্গে তার কিছুটা বিতর্কের অবতারণা হয়। টিউলিট ডেইজিকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হোপ ইউ হ্যাভ এ গ্রেট বার্থ বিকজ চাইল্ড লেবার ইজ হার্ড