নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশিরা হলেন মিজানুর রহমান, ফরিদ আহমেদ ছাইদুল, বাবলী নেওয়াজ ও মহিউদ্দিন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ১৯৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।
করোনায় মৃত্যু হওয়া বাবলী নেওয়াজ বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পারফর্মিং আর্টসের সহসভাপতি ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৫ এপ্রিল ভোরে জ্যামাইকার কুইন্স হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি জ্যামাইকায় বসবাস করতেন। তার স্বামী অনেক আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। দুই সন্তান মুনমুন নেওয়াজ ও তৃণা নেওয়াজ এবং এক নাতনিকে রেখে গেছেন।রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের আক্রমণে ৫৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, রাজ্যে এখন মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজারেরও বেশি। আর করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৫৯০ জন। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার করে নতুন সংক্রমণের রোগী হাসপাতালে যাচ্ছেন। নিউইয়র্কে দিনে ২০ হাজার মানুষের করোনা টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে। অচিরেই এ টেস্টের সংখ্যা ৪০ হাজারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে গভর্নর জানিয়েছেন।
গভর্নর কুমো বলেছেন, তিনি নির্বাহী আদেশে রাজ্যের ফার্মেসিগুলোতে করোনাভাইরাস টেস্টিং সুবিধা বিস্তৃত করছেন। ফার্মেসিগুলো টেস্টিং উপাত্ত গ্রহণ করে ল্যাবে পাঠাবে। ল্যাব থেকে টেস্টিং করে ফলাফল ফার্মেসিতে ফেরত পাঠাবে। ফলে দ্রুত রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের জন্য করোনাভাইরাস টেস্টিং সুবিধা বিস্তৃত হবে। নগরীর ফার্স্ট রেসপন্ডার, জরুরি বিভাগ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টেস্ট করা হচ্ছে। এরপরই এমটিএ, পুলিশসহ সামনের সারির জরুরি কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে টেস্টিং করা হবে। দ্রুতই নিউইয়র্কের সর্বত্র টেস্টিং সুবিধা সহজলভ্য করা হবে বলে গভর্নর জানিয়েছেন।
নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও জানিয়েছেন, নগরীতে করোনায় আক্রান্ত মানুষের গড় বয়স দেখা গেছে ৫১ বছর। নগরীতে আক্রান্তের মধ্যে ৫২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৮ শতাংশ নারী বলে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে।