বিভাগ / ফেনীতে কোহিনুর ও মহি বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:৪৪:১৯ পূর্বাহ্ন
ফেনীতে কোহিনুর ও মহি বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
ফেনী: ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা কোহিনুর বেগম ও শ্রমিকলীগ নেতা মহি উদ্দিন বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার, মুহুরীগঞ্জ সিএনজি ষ্টেশনের লাইন ম্যানের আড়ালে ছাগলনাইয়া উপজেলার শ্রমিক লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মহি উদ্দিন, মোশারফ হোসেন রনি, আনোয়ার হোসেনসহ, মহিউদ্দিন রনি ‘গুন্ডা’ বাহিনী নামে একটি বাহিনী গঠন করেছে বলে জানা গেছে। উক্ত বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন চাঁদাবাজীতে ছাগলনাইয়াবাসী চরমভাবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে মাুনষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সন্ত্রাসী রনি, সাদ্দাম হোসেন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের মদদ দিচ্ছে তার পিতা মহিউদ্দিন ও ইউপি সদস্য কোহিনুর বেগম। সামান্য একজন সি.এন.জি ষ্ট্যান্ডের লাইনম্যান থেকে আজ কোটি টাকার মালিক বনে গেছে ওরা। মনে হচ্ছে আলাদিনের যাদুর চেরাগ পেয়েছে। প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় করে একটি বিলাস বহুল বাড়ী করেছেন।
পুরাতন মুহুরীগঞ্জ বাজারে বিশাল ২টি মার্কেট নির্মান করেছেন তিনি। ফেনী জেলা শহরে নিজ ও মেয়ের নামে কোটি টাকার জমি ক্রয় করা ছাড়াও কয়েকটি গাড়ীর মালিক হয়েছেন তিনি। মূলত তার একমাত্র উৎসহ ডাকাতি, সরকারী রেলওয়ের খাস জমি, রেলওয়ের লেক দখল, চুক্তিভিত্তিক হত্যা, মাদক, ইয়াবা, চাঁদাবাজী ও নারী ব্যবসা থেকে। এই বাহিনী শুভপুর থেকে ফেনী পর্যন্ত এই মিরেশ্বরাই এর বারাইয়ার হাটেও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে। এছাড়া ছিনকি আস্তানা থেকে লাকসাম রেল রোডে চুরি ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানায় তাহাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দুরের কথা তাকিয়ে কথা পর্যন্ত বলা যায় না। পুরো এলাকাতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েত করে রেখেছে। তাহাদের বিরুদ্ধে এযাবত ৮২টি মামলা রুজু হয়ে চলমান রয়েছে, অজ্ঞাত কারনে তাদেরকে গ্রেফতার করছেনা।
ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার কোহিনুর বেগম, তিনি মূলত মাদক স¤্রাজ্য গড়ে তোলে ও মহি উদ্দিন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এর দায়িত্ব পালন করে। অনুসন্ধানে জানা যায় স্থানীয় পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা এইসব অপকর্ম করে এবং সর্ববই অবস্থায় প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে ঘুরাপেরা করে। এলাকাবাসী জানায় এই সন্ত্রাসী বাহিনীর কবল থেকে ছাগলনাইয়া বাসী তথা ৫ লক্ষ লোক জিম্মি দশা থেকে মুক্তি চায়। এদিকে ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আবু সালেহ মোঃ জাফর জনান যে, আমরা তাকে গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাদের সম্পর্কে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে। সাথে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমরা হন্যে হয়ে তাদেরকে খোঁজছি, তাদেরকে খোঁজ ফেলে আমাদেরকে জানানোর জন্য এলকাবাসীকে বলেছি।