বরিশাল: বরিশাল নগরীর রূপাতলী শেরেবাংলা সড়কে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধুর হাতে খুন হয়েছেন আবু সালেহ (১৭) নামে এক স্কুলছাত্র।
রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আবু সালেহ নগরীর নূরিয়া স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং শেরেবাংলা সড়কের বাসিন্দা লিটন মৃধার ছেলে। হামলাকারী হৃদয় (১৮) একই এলাকার মো. আতাউর রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সবুজ ও রাজিব জানান, রোববার রাতে শেরেবাংলা সড়কের শুক্কুরের বন্ধ চায়ের দোকানে সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিল আবু সালেহ ও তার বন্ধু শান্ত। দীর্ঘ সময় তারা ওই স্থানে বসে কথা বলছিল। এ সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন একই এলাকার সবুজ ও রাজিব। তারা আবু সালেহ ও শান্তকে বাসায় যেতে বলে। এরপর তারা নিজেরা বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটতে থাকেন। হঠাৎ মারধরের শব্দ সবুজ ও রাজিবের কানে আসে। তারা পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখতে পান সালেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। হৃদয়ের হাতে লোহার শাবল।
ঘটনাস্থলে দৌড়ে যাওয়ার আগে হৃদয় শাবল দিয়ে আরো তিন-চারটি আঘাত করে সালেহের শরীরে। তারা দুই জনে গিয়ে হৃদয়কে শাবলসহ ধরে ফেলে। এ সময় মাটিয়ে লুটিয়ে থাকা আবু সালেহকে বাঁচাতে বলে সালেহের বন্ধু শান্ত। তারা দুজন হৃদয়কে ছেড়ে দিয়ে আবু সালেহকে নিয়ে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। তাকে মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই আবু সালেহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক মাস আগে ব্যাডমিন্টন মাঠের বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে আবু সালেহের সঙ্গে হৃদয়ের বাগবিতণ্ডা হয়। ওই ঘটনায় উভয়পক্ষের অভিভাবকরা মীমাংসা করে দেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি হৃদয়। ওই ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। তাছাড়া সিনিয়র-জুনিয়র নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) শাহ মো. আওলাদ হোসেন জানান, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।