শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৭:১০ অপরাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:১৮:৪১ পূর্বাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

কোটা বাতিল হলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

কোটা বাতিল কমিটির প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী উল্লেখ করে এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নামে একটি সংগঠন। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিলের সুপারিশ বাতিলের দাবিতে সংগঠনের পক্ষে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি দিবেন নেতারা। একই দাবিতে শাহবাগ চত্বরে মহাসমাবেশ করবে সংগঠনটি। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এই হুঁশিয়ারি দেন। আল মামুন বলেন, কোটা বাতিল করতে হলে সব শ্রেণির চাকরিতে করতে হবে আর কোটা বহাল রাখতে হলেও সব শ্রেণির চাকরিতে রাখতে হবে। সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের যে সুপারিশ করা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। এই ধরনের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের অপমান করা হয়েছে। ‘তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কোটা থাকবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে না, সমাজে কোটার প্রয়োজন নেই’ মন্ত্রীপরিষদ সচিবের এই ধরনের বক্তব্য আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি। আরও বলা হয়, কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা কোনো কোটা সুবিধাভোগীদের সাথে কথা না বলে তাদের মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছেন যা সংবিধানবিরোধী। কোটা সুবিধার প্রয়োজনীয়তা রাষ্ট্রে এখনও শেষ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। তারা সচিবের সুপারিশ বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে কোটা বাতিলের সুপারিশ বাতিলসহ চারদফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো ৩০ শতাংশ কোটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য বিসিএসসহ সকল চাকরি পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া এবং প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটুক্তিকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্যান্য কোটার ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের অবস্থান জানতে চাইলে তারা অন্যান্য কোটাও বহাল রাখার পক্ষে বলে জানান। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে তারা বলেন, তারা কখনও হামলা করেননি হামলা ঠেকিয়েছেন।





আরো খবর