শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ১২:০৯ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৮ ০৩:০৯:০৩ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

খারাপ ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হবে : অর্থমন্ত্রী

যেসব ব্যাংকের অবস্থা খারাপ সেগুলোকে অন্য ব্যাংকের সাথে একীভূত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খেলাপি ঋণ। মোট ঋণের বিপরীতে খেলাপির হার খুব বেশি, যা একটি দেশের জন্য খুবই খারাপ। তবে আশার কথা হচ্ছে, এক সময় মোট ঋণের ৪০ শতাংশই ছিল খেলাপি বর্তমানে তা ৯ থেকে ১১ শতাংশে নেমে এসেছে। আশা করছি আগামীতে আরো কমে আসবে। আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে সফররত নরওয়ে ফান্ড টিমের ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অর্থমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। এসময় অর্থমন্ত্রী প্রতিনিধিদলের কাছে এ কথা ব্যক্ত করেন। প্রতিনিধিদলের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মিজ সিডসেল ব্লেকেন উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ এখন বিদেশী বিনিয়োগের জন্য উৎকৃষ্ট স্থান। তাই নরওয়ের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেক্টরে প্রবৃদ্ধি খুব দ্রুত হয়েছে। বর্তমানে ৫৮টি ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকের সংখ্যা বেশি মনে হলেও সমস্যা নেই। বর্তমানে কয়েকটি ছাড়া প্রায় সব ব্যাংকের অবস্থা ভালো। এমনও হতে পারে যেসব ব্যাংকের অবস্থা খারাপ সেগুলোকে অন্য ব্যাংকের সাথে একীভূত করে দেয়া হবে। আগামীতে ব্যাংকিং সেক্টরকে আরো সুশৃঙ্খল করতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। মুহিত বলেন, এ মুহূর্তে দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খেলাপি ঋণ। বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ে সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। এমনও শোনা গেছে, এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে। বিষয়গুলো এতদিন খুব কড়াকড়িভাবে নজর দেয়া হতো না। কিন্তু বর্তমানে এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো নজর দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি বলেন, বিদেশীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা জন্য বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) কাজ করছে। আমরা বর্তমানে বিনিয়োগের অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছি বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতকে। বিদ্যুৎ ও অবকাঠানোর উন্নয়ন ঘটলে বিদেশী বিনিয়োগ আরো বাড়বে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে। ২০০৯ সালে খুব ফেয়ার নির্বাচন হয়েছিল, ২০১৪ সালে ফেয়ার নির্বাচন হয়েছিল কিন্তু সে সময় বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। ফলে জাতীয় পার্টি বর্তমান সংসদে বিরোধী দল হিসেবে আছে। আগামীতেও যদি জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোটে নির্বাচিত করে তাহলে দেশের উন্নয়নে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে বর্তমান সরকার শুরু থেকেই জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য এসব বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে সরকার প্রস্তুত। মুহিত বলেন, বাংলাদেশ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্রতা দূর হবে। আর এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আমাদের জিডিপি পাঁচ শতাংশ থেকে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে স্থির হয়ে ছিল। সেটি এখন সাত দশমিক দুই শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, গড় আয়ু বেড়েছে। শিক্ষার হার বেড়েছে। এধারা অব্যাহত রাখতে বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে সরকার। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে নরওয়ে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ, অবকাঠামো নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন





আরো খবর