শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫ | ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন (GMT)
ব্রেকিং নিউজ :
X
শিরোনাম :
  • নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে আ.লীগ: কাদের
  • ইসি নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে হার্ডলাইনে যাবে বিএনপি


রোববার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:২৯:৪৬ অপরাহ্ন Zoom In Zoom Out No icon

রংপুর সিটিতে সরকারবিরোধী হাওয়া ধানের শীষের পক্ষে

ঢাকা: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে, নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের পরিবেশ ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রভাব বিস্তার, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে একজন প্রতিমন্ত্রীর আচরণবিধি লঙ্ঘন, কাউন্সিলর প্রার্থীদের হামলা-ভাঙচুর এবং একে অপরের অফিস পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় উত্তপ্ততা অনেকগুণ বেড়ে গেছে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত না থাকায় ভোটের আগে এ পরিবেশ আরও সহিংসতায় রূপ নেয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এতে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিয়ে ভোটারদের মনে ভীতি তৈরি হচ্ছে। এমন নানা কারণে রসিক নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বিমুখী আচরণের অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দ্বন্দ্বের মুখে রসিকের সাধারণ ভোটাররা ঝুঁকছেন বিএনপির দিকে। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান বাবলার পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেয়ায় তার জয়ের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। সেই সাথে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতও বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, সব হিসাব নিকাশে প্রভাবশালী তিন মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে এখন জয়ের জন্য এগিয়ে রয়েছেন বিএনপি প্রার্থীই। যদি রসিকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বিস্তারের ঘটনা না ঘটে তাহলে বিএনপি প্রার্থী বাবলাই ২১ ডিসেম্বরের রসিক নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে বিশ্বাস করে বিএনপি। জানা গেছে, সদ্য সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু গত ৫ বছরে রংপুরে উল্লেখযোগ্য কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি। তা ছাড়া নিত্যপণ্যসহ গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের প্রতি সারাদেশের মতো রংপুরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) দু’জন প্রার্থী রয়েছেন। যদিও একজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থানীয় ভোটাররা মনে করেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতা আসিফ শাহরিয়ারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও এরশাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে তিনি জাতীয় পার্টি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার ভোটে ভাগ বসাবেন। যা জাপা প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ করেছে। তবে ভালো অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা। কারণ সরকারের হামলা-মামলা, নির্যাতন, দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতিসহ নানা কারণে বিএনপির প্রতি জনসমর্থন বাড়ছে। রংপুর সিটিতেও এর প্রভাব পড়েছে। যদিও বিএনপি প্রার্থীর বৈধতা নিয়ে প্রথমে কিছুটা জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু আদালতের রায়ে সে ভীতি দূর হওয়ার পর স্থানীয় নেতাকর্মীদের মনে আশার আলো সৃষ্টি হয়। সেই সাথে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পেয়ে দলের ভেতর গতি সঞ্চার হয়েছে। জামায়াতসহ ২০ দলের অন্যরাও বাবলাকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণা প্রার্থীদের একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনের অভিযোগ যাই থাকুক না কেন রসিকে মেয়র পদে সাত প্রার্থীই শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা, উঠোন বৈঠক ও মিডিয়ায় সক্রিয় রয়েছেন। ভোটাদের মনজয় করতে রাত-দিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন সবাই। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে হবে বলেই মনে করেন ভোটাররা। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার প্রতিদিনের মতো আজ রোববারও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালিয়েছেন তিন হেভিওয়েট মেয়রপ্রার্থী। জাপা প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলছেন, ঝন্টু পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলেও নগরীর উন্নয়ন করেননি। তিনি মেয়র হিসেবে ব্যর্থ এবং তার নির্বাচনে দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নেই। এদিকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জনপ্রিয়তায় লাঙলের জোয়ারের স্রোত দেখে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ঝন্টু। তার ভরাডুবি হতে দেখে সে এখন পাগলপ্রায়। কখন কী বলছেন তা তিনি নিজেই বুঝতে পারছেন না। তিনি বলেন, ঝন্টু ক্ষমতা থাকার সময় নগরীর কোনই উন্নয়ন করতে পারেননি। তিনি একজন ব্যর্থ মেয়র। তিনি (ঝন্টু) বলছেন সিটি করপোরেশনের মেয়রের হাতে কোনো ক্ষমতাই নেই। তাহলে তিনি আবার কেন মেয়র হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় মানুষের যে ঢল দেখছি তা সত্যি অবাক হওয়ার মতো। যেখানে জনসংযোগ বা পথসভা করছি তা জনসভায় পরিণত হচ্ছে। আর সেটা সম্ভব হচ্ছে রংপুর মানুষের ভালবাসার কারণে। সবার ভালবাসার কারণেই বিপুল ভোটে লাঙলের জয় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচনই আশা করা যায় না উল্লেখ করে বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা বলেছেন, যদি নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন- ধানের শীষে ভোট দিয়ে একটি বিপ্লব ঘটাবে। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে প্রচারণা ততই জমে উঠছে। বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের রংপুর আগমনে। আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া প্রেস উইং শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, বিএনপি মহাসচিবের রোববার রংপুর আসার কথা থাকলেও এদিন ঢাকায় বিজয় র‌্যালি থাকায় সোমবার সকালে রংপুর অবস্থান করবেন তিনি। রসিকে ধানের শীষের ‘ভোট বিপ্লব’ একইদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি জিয়াউর রহমান অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য কাজ করে গিয়েছিলেন। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়। অবশ্য নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন প্রচারণায় ধানের শীষের প্রার্থীকে ঠিতমতো কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। পথে পথে গণসংযোগে প্রশাসন বাধা দিচ্ছে। অথচ অন্য সরকারদলীয় প্রার্থীরা বড় বড় সমাবেশ করে প্রচার চালাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যাদেরকে পোলিং এজেন্ট করার জন্য তালিকা করা হচ্ছে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখিয়ে আসা হচ্ছে যেন তারা কেন্দ্রে না যান। তাদের কোন ভোট দিতে হবে না। এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে সেই প্রশ্নও রাখেন তিনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি ও পথসভায় বাধা দেয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তারা টাইম টু টাইম নির্বাচন কমিশনকে মৌখিকভাবে জানাচ্ছেন, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছি- এই সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ সরকার দলীয় প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় বিধি লঙ্ঘন করার পরও তাদেরকে কিছুই বলছে না। শুধু বিএনপির প্রার্থীর পেছনে প্রশাসন লেগে আছে।’ বিজয় মিছিলে রংপুর মহনগর বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিজু, জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রইস আহম্মেদ, সাবেক এমপি সাহিদা রহমান জোসনাসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির মিডিয়া সেল গঠন এদিকে গত বুধবার বিএনপির মিডিয়া উইং শায়রুল কবির খান রংপুর এসে একটি মিডিয়া সেল গঠন করেন। এই মিডিয়া সেলে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনের সকল আপডেট সংবাদ প্রচারের জন্য একটি ফেইসবুক আইডি খোলেন শায়রুল কবির খান। তারপরই প্রচারণার প্রাণ ফিরে পায় দলটির নেতাকর্মীরা। রাঙ্গাকে সতর্ক করে নোটিশ রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মশিউর রহমান রাঙ্গাকে নোটিশ দিয়ে সতর্ক করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। জাতীয় পার্টির পক্ষে প্রতিমন্ত্রীকে নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিমন্ত্রীকে পার্টির নির্বাচনী সমন্বয়ক করা হয়েছে কিনা সেই ব্যাপারে তিনি অবগত নন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের দেয়া আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি না। আচরণবিধি মেনেই আমি আমার অফিসিয়াল কাজ করছি। যারা এসব কথা বলছেন, তারাই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন।’ বুধবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু রংপুর জেলা ও মহানগরের নেতাদের নিয়ে নির্বাচনের প্রচারণায় নামেন। বৃহস্পতিবার আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল। সর্বশেষ আসেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক। কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনে পুরো চিত্রই পাল্টে যেতে শুরু করেছে নির্বাচনী মাঠের হাওয়া। জামায়াতকে সক্রিয় করার চেষ্টা আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মেয়রপ্রার্থী কাওছার জামান বাবলার প্রতিদ্বন্দি¦তার সম্ভাবনা দেখা দেয়া শেষ মুহূর্তে জামায়াতকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। প্রথমে এ নিয়ে তেমন ভাবনা না থাকলেও দলটি এখন গুরুত্ব দিয়ে গণসংযোগ শুরু করেছে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে মঙ্গলবার জামায়াতের সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় জামায়াতও রংপুরের স্থানীয় নেতাকর্মীদের ধানের শীষের মেয়রপ্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জনপ্রার্থী। ৪ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ‘লাঙ্গল’, বিএনপি প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা দলীয় প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন। এ ছাড়া জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের ভাতিজা ও দল থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী হোসেন মকবুল আফিস শাহরিয়ার ‘হাতি’, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের গোলাম মোস্তফা ‘হাতপাখা’, বাসদের আব্দুল কুদ্দুস ‘মই’ ও এনপিপির সেলিম আক্তার ‘আম’ প্রতীক নিয়ে রসিক নির্বাচনের লড়াই করছেন। আর ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রংপুর সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী এক লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি, ভোটকক্ষ এক হাজার ১৭৭টি।





আরো খবর