প্রকাশিতঃ বুধবার, ০৪ নভেম্বর ২০২০ ১০:২৯:০৭ অপরাহ্ন
চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
উচ্চ আদালতের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে শহিদুল ইসলাম বুধবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসর্মপণ করে জামিন আবেদন করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শহিদুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের কোচনগর এলাকার আব্দুর রশিদ মাতব্বরের ছেলে। মামলার বাদী ও নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. আজিবর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান, শহিদুল ইসলামের কর্মস্থল ও ওই তরুণীর বাড়ি একই ইউনিয়নে। ২০১৯ সালে একই অটোরিকশায় যাওয়ার সময় তার সঙ্গে শহিদুল ইসলামের পরিচয় হয়। এর কিছুদিন পর তাদের আবার দেখা হয়। এ সময় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম তার কলেজে ওই তরুণীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন।
কথোপকথনের একপর্যায়ে শহিদুল ইসলাম তার মুঠোফোন নম্বর চেয়ে নেন। এরপর তিনি প্রায়ই ফোন দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতেন। কয়েক মাস পর শহিদুল ইসলাম তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সুবাদে ওই তরুণীর বাড়ি যাওয়া-আসা শুরু করেন শহিদুল ইসলাম।
একদিন বাড়িতে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করেন শহিদুল ইসলাম। এরপর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও ওই তরুণীর চাকরি মেলেনি। তিনি চাকরির কথা বললে শহিদুল ইসলাম এড়িয়ে যান। ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতে মুঠোফোনে ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলে শহিদুল ইসলাম জানতে পারেন তিনি বাড়িতে একা আছেন। রাতেই শহিদুল ওই তরুণীর বাড়িতে যান এবং চাকরি ও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শহিদুল।
পরে ওই তরুণী দেখা করলে শহিদুল ইসলাম তাকে বিয়ে করতে ও চাকরি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে গত ২২ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর শহিদুল ইসলাম উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন।
আজিবর রহমান বলেন, জামিনের মেয়াদ শেষে বুধবার শহিদুল ইসলাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।