প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ ০২:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন
বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২২৪
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ২২৩ রানেই অলআউট করে দিল ইংল্যান্ড।বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৪৯ ওভারে ২২৩ রানেই ইনিংস গুটিয়ে যায় অসিদের।ক্রিস ওকস ওজফরা আর্চারের গতির মুখে পড়ে ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলটিকে খেলায় ফেরান স্টিভ স্মিথ। তার ৮৫ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২২৩ রান তুলতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপেরগত ১১ আসরের মধ্যেপাঁচবার শিরোপা জিতে নিয়েছেঅস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও অসিরা।এবারের আসরে দুর্দান্ত খেলে যাওয়া অস্ট্রেলিয়াকে ২২৩ রানেই প্যাকেট করে দিল ইংল্যান্ড।
২৭ বছর পর আরও একটি ফাইনালে খেলার অপেক্ষায় ইংল্যান্ড। সবশেষ ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল ইংল্যান্ড।প্রায় তিন দশক পর চতুর্থবারের মতো ফাইনালে খেলার অপেক্ষায়ইংলিশরা।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই ক্রিস ওকস এবং জফরা আর্চারের গতির মুখে পড়ে যায় অসি ব্যাটসম্যানরা।
জিতলে ফাইনালে, হারলে বিদায়। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে স্কোর বোর্ডে ১৪ রান জমা করতেই সাজঘরে ফেরেন অসি তিন সেরা ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব।
দলের এমন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে উইকেটে নেমেই জফরা আর্চারের বাউন্সারের শিকার হন অ্যালেক্স কেরি। ৭.৬ ওভারে দলীয় ১৪/৩ এবং ব্যক্তিগত ৪ রানে জফরা আর্চারের বাউন্সার সরাসরি কেরির হেলমেটে আঘাত হানে। চোট নিয়েই অনবদ্য ব্যাটিং চালিয়ে যান কেরি।
চতুর্থ উইকেটে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ইতিমধ্যে ১০৩ রানের জুটি গড়েছেন কেরি। অনবদ্য ব্যাটিং করে ফিফটির পথেই ছিলেন তিনি। আদিল রশিদের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দেন। তার আগে ৭০ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৪৬ রান করেন কেরি।
এরপর আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন স্টিভ স্মিথ। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ অধিনায়ক। সেঞ্চুরির পথে থাকা স্মিথ, ইনিংস শেষ হওয়ার ১৭ বল আগে দুর্ভাগ্য বশত রান আউট হয়ে ফেরেন।
অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ১১৯ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ৮৫ রান করেন স্মিথ। তার বিদায়ের পর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে মিচেল স্টার্ক ও জেসন বিহানড্রপের উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।