সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৭

প্রকাশিতঃ রোববার, ২৪ মার্চ ২০১৯ ০৩:০৮:৩১ পূর্বাহ্ন

তাসকিনের ভাবনায় শুধুই বিশ্বকাপ

বিপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে এক বছরের বেশি সময় পর ফিরেছিলেন জাতীয় দলের স্কোয়াডে। কিন্তু তাসকিন আহমেদের ফেরাটা মাঠ পর্যন্ত যেতে পারেনি। চোট পেয়ে ছিটকে যান মাঠের বাইরে। নিউজিল্যান্ড সফরের দল থেকে ছিটকে পড়ে বিশ্বকাপ স্বপ্নেও লেগেছিল জোর ধাক্কা। তবে স্বস্তির খবর, চোট থেকে অনেকটাই সেরে উঠেছেন তাসকিন। বিশ্বকাপের আশাও তাই ভালোমতোই আছে ডানহাতি এই পেসারের। বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে শেষ ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় বাম গোড়ালির গাটে চোট পেয়েছিলেন তাসকিন। সেই চোটে বেশ কিছুদিন ক্র্যাচে ভর করেও হাঁটতে হয়েছিল তাকে। মাস দেড়েকের পুনর্বাসনে এখন অনেকটাই সুস্থ ২৩ বছর বয়সি পেসার। মিরপুরে কদিন আগে দৌড় শুরু করেছেন। শনিবার তাসকিন জানালেন, সবকিছু ঠিক থাকলে বোলিংও শুরু করবেন এ মাসেই। মিরপুরে তাসকিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আল্লাহর রহমতে এখন অবস্থা ভালো। আজকে আমার দ্বিতীয় রানিং সেশন হবে। আশা করি এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত বোলিংও শুরু হবে আস্তে আস্তে। রানিংয়ের তীব্রতা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ব্যথা নেই। আল্লাহ যদি চায় এই মাসেই বোলিং শুরু করব, এটা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সুপার লিগের (প্রিমিয়ার লিগ) মধ্যেই খেলা শুরু করার। প্রগ্রেস ভালো হলে এর আগেও হতে পারে। তবে আমি পুনর্বাসনটা ভালোমতো শেষ করেই শুরু করতে চাচ্ছি।’ সামনে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ। এরপরই ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের দল প্রায় ঠিক হয়ে আছে। গত কিছুদিন ধরে এমন কথাই বলছেন নির্বাচকরা। তাসকিন জানালেন, চোটে পড়ার পর কোচ, অধিনায়কসহ কর্মকর্তারাও তার খোঁজ নিয়েছেন, ‘আসলে ইনজুরি হওয়ার পর জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টের উচ্চপদের কর্মকর্তারা আমার খোঁজ নিয়েছিল। প্রায় প্রায়ই ফলোআপ করছে, কতটুকু প্রগ্রেস, কী অবস্থা এসব। এই জিনিসগুলো আরো বেশি অনুপ্রাণিত করে। আমাদের দলের কোচ, অধিনায়ক, সিনিয়র ক্রিকেটাররা খোঁজ নিচ্ছে। এসব শুধু আমি না, যে কোনো ইনজুরড খেলোয়াড়ের জন্যই যদি করা হয়; সে অনুপ্রাণিত হবে।’ তাড়াহুড়ো করে মাঠে নেমে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ঝুঁকি এলেও বিশ্বকাপটাই তাসকিনের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে বেশি। তবে শতভাগ ফিট হয়েই বিশ্বকাপ দলে থাকতে চান তিনি, ‘সত্যি কথা বলতে আমি বিশ্বকাপকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কারণ বিশ্বকাপ আমার স্বপ্ন। আমি জানি না কাল সকালে ঘুম থেকে উঠে কী হবে। অত লম্বা আমি চিন্তা করছি না। আমি মূল অগ্রাধিকার দিচ্ছি শতভাগ ফিট হয়ে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া।’ ‘কারণ আমি ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছি। বিশ্বকাপে খেলার শান্তিটাই অন্যরকম। এখনো মনে পড়লে বিশ্বকাপের স্মৃতিগুলো খুবই ভালো লাগে। ২০১৯ সালে আরেকটা বিশ্বকাপ আসছে। সবার কাছে আমি দোয়া চাইব সুস্থ থেকে বিশ্বকাপে যাওয়া ও ভালো করার। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ভালো করতে পারলে, সেটা অন্যরকম অনুভূতি হবে, এটা বলে বোঝানো যাবে না’- বলেন তাসকিন।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com