বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৫৭

প্রকাশিতঃ সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৮:৫২:৫৫ পূর্বাহ্ন

১২৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ

একমাত্র সাকিব আল হাসান ছাড়া কেউই ক্রিজে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারলেন না। সবক’টি ওভারও খেলে আসতে পারলেন না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে ১২৯ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে সিরিজটাও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের পালা। এটি জিতে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ জিততে চায় টাইগাররা। সেই লক্ষ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন স্বাগতিক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে শুরুটা যাচ্ছেতাই হয় বাংলাদেশের। টপঅর্ডারদের যেন সাজঘরে ফিরতে তর সইছিল না। সূচনালগ্নে শেলডন কটরেলের বলে কার্লোস ব্রাফেটকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। খানিক বাদেই ওশান থমাসকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন লিটন দাস। তার ক্যাচও তালুবন্দি করেন ব্রাফেট। সেই রেশ না কাটতেই কটরেলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে রোভম্যান পাওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে সৌম্য সরকার ফিনিশ হলে চাপে পড়ে টাইগাররা। সেই চাপের মধ্যে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। তিনিও উইকেট ছুড়ে আসেন। তবে প্রতিপক্ষ ফিল্ডারদের হাতে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে নয়। রানআউটে কাটা পড়ে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এ পরিস্থিতে শান্ত থাকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই কটরেলের বলে উইকেটের পেছনে শাই হোপের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। আরিফুল হকের প্রতিভা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বিপিএল দিয়ে নিজেকে জানান দেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছেন না। আরও একবার ব্যর্থ এ হার্ডহিটার। পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পারেননি তিনিও। ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের বলে নিকোলাস পুরানকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। অল্পক্ষণ পর ব্রাফেটের বলে পুরনাকে ক্যাচ দিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ফিরলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের মধ্যেও টিকে ছিলেন সাকিব। ধ্বংস্তূপের মাঝেই অসাধারণ ফিফটি তুলে নেন তিনি। শেষদিকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে কটরেলের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এর আগে ৪৩ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রান করেন টাইগার অধিনায়ক। এটি তার ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি। সাকিব ফিরলে গুটিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। নিজের ব্যাটিং সত্ত্বার প্রমাণ দিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। কিমো পলের বলে শাই হোপের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি। পরক্ষণেই মোস্তাফিজুর রহমানকে সরাসরি বোল্ড করে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন পল। এদিন উইন্ডিজের সেরা বোলার কটরেল। একাই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে টাইগারদের গুঁড়িয়ে দিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ২ উইকেট ঝুলিতে ভরেন পল। এ ম্যাচে দলে তিনটি রদবদল ঘটেছে। একাদশে ঢুকেছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আরিফুল হক ও পেসার আবু হায়দার রনি। ছিটকে গিয়েছেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন, স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ও পেসার রুবেল হোসেন। বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি ও মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ায়র, ড্যারেন ব্রাভো, নিকোলাস পুরান (উইকেটরক্ষক), রোভম্যান পাওয়েল, কার্লোস ব্রাফেট (অধিনায়ক), ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, কিমো পল, শেলডন কটরেল ও ওশান থমাস।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com