বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০১:১৮

প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

শেষ পর্যন্ত খেলার পরিকল্পনা ছিল আমাদের

ভারতের বিপক্ষে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফিরতে হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। ভালো শুরুর পরও তাই ইনিংস বড় করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস বড় করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। মাহমুদউল্লাহ যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন সাজঘরের পথে মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৮৭। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তখন ক্রিজে ইমরুল কায়েস। ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বাঁধলেন দুজন। প্রথমে এক-দুই রান নিয়ে উইকেটে থিতু হলেন। রানের চাকা সচল হওয়ার পর আক্রমণে গেলেন। পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে দলকে এনে দিলেন লড়াকু পুঁজি। ১২৯ রানের জুটি গড়ে ভাঙেন ১৯ বছরের রেকর্ড। ১৯৯৯ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আল শাহরিয়ার ও খালেদ মাসুদ ১২৩ রানের জুটি গড়েছিলেন ষষ্ঠ উইকেটে। ৪৭তম ওভারে ৭৪ রানে মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলেও ইমরুল শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেন। অপরাজিত থাকেন ৭২ রানে। বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে ২৪৯ রানের পুঁজি পায়। সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি আফগানিস্তান। ৩ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাদেরকে। ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে উইকেট পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ফিল্ডিংয়েও নিয়েছেন একটি ম্যাচ। সব মিলিয়ে দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মাহমুদউল্লাহর। এজন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন। তবে ম্যাচ জয়ে বোলাররদের কৃতিত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বলেন,‘ক্রেডিট মুস্তাফিজের। আমরা জানতাম ওদের শেষ দিকে ভালো হিটার ব্যাটসম্যান আছে যারা স্নায়ু চাপ নিতে পারবে। কিন্তু আজ আমরা জিতেছি। দলগত প্রচেষ্টায় এসেছে এ ফল। বোলাররা আমাদের জয় এনে দিয়েছে।’ ‘দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আমি এবং ইমরুল ভালো জুটি গড়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত খেলার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। আশা করছি পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা ভালো করব এবং আমরা আমাদের সেরা দল নিয়ে মাঠে নামতে পারব।’ – যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ। এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে হলে আগামীকাল পাকিস্তানকে হারাতেই হবে বাংলাদেশের।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com