রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:০৪

প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮ ০৫:৫৪:৩৮ পূর্বাহ্ন

মহাকাশযাত্রায় ভাড়া ২ লাখ ডলার!

মহাকাশে ছুটি কাটাতে চান? ২০২১ সালে সেখানে এক হোটেল তৈরি হওয়ার কথা। বেসরকারি বাণিজ্যিক উদ্যোগের কারণে মহাকাশযাত্রার ওপর রাষ্ট্রের একচেটিয়া আধিপত্য কমে চলেছে। অন্যদিকে ব্যয়ও কমছে। টেসলা কোম্পানির প্রধান এলন মাস্ক মঙ্গলগ্রহে বসতি স্থাপন করতে চান। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস মোটা অঙ্কের ভাড়ার বিনিময়ে ‘ব্লু অরিজিন’ যানে করে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে যাত্রী পাঠাতে চান। ব্রিটেনের শিল্পপতি রিটার্ড ব্র্যানসনও মহাকাশে পর্যটন ব্যবসা চাঙা করে তুলতে চান। ২ লাখ ডলারের বিনিময়ে তার ‘ভার্জিন গ্যালাকটিক’ যানে ৫ মিনিটের জন্য মাধ্যাকর্ষণহীনতার অভিজ্ঞতা অর্জন করা যাবে। এসব স্বপ্ন কি নিছক পাগলামি ও অবাস্তব? মহাকাশ বিশেষজ্ঞ গিডো শভারৎস তা মনে করেন না। মহাকাশ বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি সুইজারল্যান্ডে এক মহাকাশ মিউজিয়াম গড়ে তুলতে ব্যস্ত। গিডো মনে করেন, এসব পরিকল্পনাকে অবশ্যই গুরুত্ব দেয়া উচিত। স্পেসএক্সের কথাই ভাবুন। ২০০২ সালে ৩০ জন কর্মী নিয়ে এলন মাস্ক এই কোম্পানি খুলেছিলেন। ২০০৮ সালেই সফল উৎক্ষেপণ ঘটল। আজ কর্মীসংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। এরই মধ্যে তারা ৪০টি রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। গত বছরের মার্চে স্পেসএক্স প্রথমবার মহাকাশে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট পাঠায়। ফলে এক নতুন যুগের সূচনা হল। এলন মাস্ক রকেটের নিচের দিকটা আবার পৃথিবীতে ফেরত পাঠিয়ে সেটি পুনর্ব্যবহার করছেন। ফলে মহাকাশযাত্রার ব্যয় অনেক কমে যাবে। জেফ বেজস ও রিচার্ড ব্র্যানসনের কোম্পানিগুলোও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে। ব্যয়ের হিসাবের দিকে নজর দিলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com