মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৫:০৪

প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৭:৩৫ পূর্বাহ্ন

আজ শুভ বড়দিন

ঢাকা: আজ ২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড়দিন। খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক মহামতি যিশু খ্রিস্টের এদিন মাটির এই ধরাধামে আবির্ভাব ঘটে। ২ হাজার ১৩ বছর আগে এই দিনে জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গরিব কাঠুরের গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নেন যিশু। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশু জন্ম নিয়েছিলেন। ধর্ম প্রবর্তকের জন্মদিনটিকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা তাই ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে থাকেন। এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। তাই আজ গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করছেন তাদের এই সবচেয়ে বড় উৎসব। এ দিবসটির তাৎপর্য সম্পর্কে খ্রিস্ট ধর্মের বিশ্বাস হলো- ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল। সেই নারীই কুমারী মেরি। যাকে মা মেরি নামে ডাকা হয়। ‘ঈশ্বরের আগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়’ মা মেরি কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন। ঈশ্বরের দূতের কথামতো শিশুটির নাম রাখা হয় যিশাস, যা বাংলায় ‘যিশু’। উৎসব ঘিরে সাধারণত যিশুর ভক্তরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের ফল্গ–ধারা। নানা ধর্মীয় আচার পালন করেন। বর্ণিল আলোকের রোশনাইয়ে হেসে ওঠে গির্জা ও ঘর-দোর। যিশু গোয়াল ঘরে জন্মেছিলেন বলেই তার অনুসারীদের ঘরে ঘরে প্রতীকী গো-শালা করা হয়। আরও থাকে ক্রিসমাস ট্রি। গির্জাসহ খ্রিস্টানপাড়ায় গৃহ-দুয়ার রঙিন বাতি দিয়ে উদ্ভাসিত করা হয়। প্রভাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা দিয়ে শুরু হয় দিনের। প্রায় সব পরিবারেই থাকে কেক, পিঠা, কমলালেবু, পোলাও-বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও উন্নতমানের খাবার-দাবারের আয়োজন। সবচেয়ে বড় উৎসব হওয়ায় পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মেলবন্ধনও ঘটে। কোথাও ২৫ ডিসেম্বরের আগে যে ধর্মীয় পার্বণাদি শুরু হয়, তা চলে সপ্তাহব্যাপী। গির্জায় ধর্মীয় গান, কীর্তন, অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। শিশুদের জন্য ক্রিসমাস পার্টিসহ নানা ধরনের আয়োজন থাকে।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com