রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০৩

প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ ০৫:২৬:৪০ পূর্বাহ্ন

টানা তৃতীয় দিনের মতো জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম নগরী

টানা বৃষ্টিতে তৃতীয় দিনের মতো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ এলাকায়। বুধবার দুপুর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়। এ কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও কর্মস্থলমুখী মানুষকে। পানি ঢুকেছে নগরীর নিচু এলাকার বাসাবাড়ি, অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। জলাবদ্ধতার কারণে পুরো নগরীতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কায় পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। চলছে উচ্ছেদ কার্যক্রমও। মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রামে শনিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। তবে সোমবার থেকে শুরু হয় ভারি বর্ষণ। এদিন চট্টগ্রাম নগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নগরীর প্রধান প্রধান বেশ কয়েকটি সড়ক হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নিচে গলা সমান পানি জমে। হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ, বেপারিপাড়া, শান্তিবাগ, মুহুরিপাড়া, রঙ্গিপাড়া, ছোটপুল, বড়পুল এলাকায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের নিচতলায় পানি ঢুকে গেলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগী ও স্বজনদের। মঙ্গলবার টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নগরী ছাড়াও জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। পাঁচটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান ও বান্দরবানের সঙ্গে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বুধবার সকালে হালকা বৃষ্টি হলেও দুপুরের পর শুরু হয় ভারি বর্ষণ। এতে নগরীর নিুাঞ্চলে আবারও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বিকালে অফিস ও কর্মস্থলফেরত মানুষ যানবাহন সংকটে পড়েন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সামনের সড়কে বুধবারও হাঁটুসমান পানি ওঠে। রোগী ও স্বজনদের পানি মাড়িয়ে হাসপাতালে যাতায়াত করতে হয়।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com