মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৭:৫৭

প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯ ০৮:০০:১৭ পূর্বাহ্ন

গাজীপুরে সেপটিক ট্যাংকে মিলল নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের লাশ

১২দিনপর নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসানের (২৪) মৃতদেহ গাজীপুরেসেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের গাছা ইউনিয়নের কামারজুরিএলাকার মধ্যপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইসমাইল হোসেন জিসান রাজধানীর শ্যামলী ২নং রোড এলাকার সাব্বির হোসেন শহীদের ছেলে। জিসান ইউরোপীয় ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিভিল বিভাগের ছাত্রছিলেন। তিনি পাঠাওয়ের মোটরসাইকেলচালক ছিলেন। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসিবুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তিনি কামারজুরি বাজার এলাকায় খাবার হোটেলের ব্যবসা করেন এবং ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় ভাড়া থাকেন। শেরেবাংলা নগর থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, ১২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থেকে নিখোঁজ হয় ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসান। তিনি পাঠাওয়ের মোটসাইকেলচালক ছিলেন। ওই দিন সকালে জিসানের পাঠাও মোটরসাইকেল ভাড়া করে গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায় যান যাত্রীরা। এর পর থেকে তার কোনে খোজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সারা দিন তারসন্ধান না পাওয়ায় রাতে গাছা থানায় জিডি করেন তার বাবা সাব্বির হোসেন। এর একদিন পর ছেলের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় শেরেবাংলা থানায়ও জিডি করেন তিনি। এর পরই অভিযানে নামে পুলিশ। ঘাতকরা গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানাধীন কামারজুরি এলাকায় অবস্থা করছেন এমন গোপন তথ্য পেয়ে সেখানে বুধবার রাতে অভিযান চালায় গাছা ও শেরেবাংলা থানাপুলিশ। অভিযানে ওই এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে হাসিবুরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে জিসানের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এর পর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাসিবুর জিসানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং তার মৃতদেহ তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়েছে বলে জানান। তার তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আটক হাসিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায়অনেকে জড়িত থাকতে পারে এবং আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে জানান ওসি।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com