রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪২

প্রকাশিতঃ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:২২:২০ অপরাহ্ন

উলিপুর থানার মধ্যে পাগলির তাণ্ডব!

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানায় তাণ্ডব চালিয়েছে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী (পাগলি)। এ সময় ওই নারীর আক্রমণে থানায় কর্মরত মহিলা পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন জখম হয়। শনিবার বিকালে উলিপুর থানার অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হয়। থানা সূত্রে জানা গেছে, উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে বৈশাখী মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গেটে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে। মেলা কমিটির লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর শুরু হয় ঝামেলা। ওই পাগলি তাকে আটকে রাখতে থানা পুলিশকে পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়। থানাহাজতে রাখলে হাজতের পানির লাইন থেকে শুরু করে বিদ্যুতের লাইন পর্যন্ত তছনছ করে ফেলেন তিনি। ডিউটি অফিসারের রুমে রাখলে আসবাবসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছুড়ে ফেলে। ওই সময় পাগলিকে এক মহিলা পুলিশ সদস্য শান্ত করতে এগিয়ে গেলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আছড় মেরে জখম করে। এ সময় একাধিক পুলিশ সদস্যকেও একইভাবে জখম করেন। এ নিয়ে থানার ভেতরে শুরু হয় তুমুল হইচই। পরে থানা পুলিশ ওই নারীকে শান্ত করে কৌশলে তার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে স্বজনদের খবর দেয়। পরে শনিবার বিকালে পরিবারের সদস্যরা ওই নারীকে উলিপুর থানা থেকে তাকে নিয়ে যান। মানসিক প্রতিবন্ধী ও নারীর মা রাজিয়া বেগম, খালা মর্জিনা খাতুন, দাদি জরিনা বেগম জানান, ওই নারীর নাম রুপালী বেগম (২৫)। সে রংপুরের পাটবাড়ি মণ্ডলপাড়া সাতমাথা এলাকার আবদুল লতিফের কন্যা। রুপালী বেগম তিন দিন থেকে নিখোঁজ ছিল। লাবনী নামে তার চার বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। স্বজনরা আরও জানায়, দেড় বছর পূর্বে রুপালী বেগমের গর্ভের দ্বিতীয় সন্তান জন্মের ১০-১২ দিন পর মারা যায়। আর এরপর থেকেই রুপালী বেগম মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। উলিপুর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রংপুর কোতোয়ালি থানার মাধ্যমে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীর আত্মীয়স্বজনদের খবর দেয়া হলে তারা এসে তাকে (রুপালী বেগম) নিয়ে যান। থানায় আটক থাকাকালীন মহিলা পুলিশ সদস্যসহ সবাইকে বিড়ম্বনায় ফেলেন ওই নারী।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com