প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৪৯:০৪ অপরাহ্ন
ওসি মোয়োজ্জেমের গ্রেফতার দাবি নাগরিক সমাবেশে
ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট’ ও ‘সমাজের জাগ্রত নাগরিকগোষ্ঠী’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোটের আহ্বায়ক শিবলী হাসানের সভাপতিত্বে এতে নগরের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংস্কৃতিক কর্মী, মানবিকার কর্মী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ধর্মের নামে নারীকে নিগৃহীত করা তো পুরনো ব্যাপার।
আজকে তার সাথে যখন রাজনৈতিক ক্ষমতার যোগ হয় তখন তা অদম্য হয়ে উঠছে। আর আমাদের আইনও পুরোপুরি ধর্ষকদের পক্ষে কাজ করছে।
যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোটের আহ্বায়ক শিবলী হাসান বলেন, এটা স্পষ্ট যে, এ হত্যাকাণ্ডটি অনেক সুপরিকল্পিত এবং অনেক অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা এখনো চলছে।
এখন পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন (শুক্রবার বিকালে আটক করা হয়েছে), ওসি মোয়াজ্জেমসহ অনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়নি। ফেনী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম মোয়াজ্জেমকে রক্ষায় পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দিয়েছেন, যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। তিনি অবিলম্বে ওসি মোয়োজ্জেমের গ্রেফতার দাবি করেন। এ সময় তিনি শিগগিরই ঢাকা-সোনাগাজী রোডমার্চ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
সংহতি বক্তব্যে এশিয়ার নারীবাদী টেলিভিশন হার নেট টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলিশা প্রধান বলেন, নারীর জীবন আজকে ভয়াবহ এক বিপদের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। সমাজের যে কোন স্তরের নারীর সত্যিকার অর্থে কোন নিরাপত্তা নাই। তাই ধর্ষক-নিপীড়কদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। কারণ প্রতিবাদ করা ছাড়া বেঁচে থাকার আর কোনো উপায় নাই।
এছাড়া কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সমাজকর্মী আকরামুল হক, পুর্ণিমা ফাউন্ডেশনের সভাপতি পুর্ণিমা শীল, সংস্কৃতিকর্মী সানজিদা গাজী, নাশিদ কামাল, নারী উদ্যোক্তা আইরিন রাব্বানী প্রমুখ।