শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:৪৭

প্রকাশিতঃ সোমবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৯ ১২:৩৮:১৪ অপরাহ্ন

আ’লীগ কোনো দিনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি: ফখরুল

আওয়ামী লীগ সরকার কোনো দিনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের পাগলার হাট এলাকায় এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন দিনমজুর তোজাম্মেল হকনিহতের ঘটনার প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়। নিহত তোজাম্মেললালমনিরহাটসদর উপজেলাররাজপুর ইউনিয়ন বিএনপিরপরিবার কল্যাণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছেজেলা বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ কোনো দিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। ভবিষ্যতেও তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে না। একাদশ নির্বাচনে প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে নামাতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই ক্ষমতাসীন সরকারকে সরিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ৯৮ হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ২৬ লাখ। প্রতিবাদ সভায় ঐক্যফ্রন্ট নেতা জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, তোজাম্মেলের কী অপরাধ ছিল। তার অপরাধ তিনি ধানের শীষের লোক ছিলেন। তিনি ধানের শীষে ভোট দিতে এসেছিলেন বলে আওয়ামী লীগের লোকেরা তাকে হত্যা করেছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, এ রকম নির্বাচন পৃথিবীর কোথাও হয়নি। জনগণ এই নির্বাচন মেনে নেয়নি। তাই এই নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে নামাতে হবে। ওই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ( রংপুর বিভাগীয়) আসাদুল হাবিব দুলু। এর আগে পৌনে দুপুর ১টার দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন লালমনিরহাটে নিহত দিনমজুর তোজাম্মেল হকের বাড়িতে আসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সেখানে তার কবর জিয়ারত করেন। এরপর প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন তারা। প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকাল ৮টার দিকে তোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথে রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন তার বাড়ির সামনে তাদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেন। এতে দুপক্ষের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তোজাম্মেল হককে মারপিট ও পেটে ছুরি মারা হয়। পরে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান। এ ঘটনায় ১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহতের ছেলে মো. মোস্তফা। আসামিরা হলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন মাস্টার, আঙুর মিয়া ও তার ভাই লেবু মিয়া, সিদ্দিক আলী, শাহীন, মহসিন আলী, জাহাঙ্গীর আলম ও মজি। পরে আদালতের নির্দেশে সদর থানায় ৯ জানুয়ারি মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com