মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০২:৩৪

প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৯ ১২:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন

অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ায় এ বিজয়

দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ায় এ বিজয় পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর জননন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের মানুষ অবস্মরণীয় এ বিজয় উপহার দিয়েছেন। শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির নিরঙ্কুশ বিজয় উদযাপনে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেন, খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে, প্রতিবন্ধীদের প্রতি মানবিক সহায়তার জন্য, গ্রামকে শহরে পরিণত করতে এ বিজয় পেয়েছেন তিনি (শেখ হাসিনা)। সাবেক কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ না করে মায়ের মমতায় আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব দরবারে নিজেকে মায়ের স্থানে বসিয়েছেন। এজন্য দেশের জনগণ এ বিজয় উপহার দিয়েছেন’। ‘বিশ্ব ব্যাংক যখন পদ্মাসেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তখন শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করার ঘোষণা, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, দেশকে ডিজিটাল দেশে রুপান্তরের ফলে এ বিজয়’, বলেও উল্লেখ করেন মতিয়া চৌধুরী। মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নিজ বক্তব্যে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিতরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। নাসিম বলেন, বিশাল বিজয়ের পর শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের নেত্রী নন, তিনি বাংলার ১৬ কোটি মানুষের নেত্রী। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির মহান নেত্রী। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে, লড়াইয়ের মাঠে হেরে গেছে তারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, তারা আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা যে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় ভূষিত হয়েছেন বাংলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামী পাঁচ বছর সফলতার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করবেন বলে আশাবাদ করেন সাবেক এ মন্ত্রী। বেলা ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছে মঞ্চে সভাপতির আসন গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। অবশ্য আড়াইটায়ই সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তারও আগে সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক আয়োজন। বিজয় উদযাপনে দুপুরের আগে থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। তাদের হাতে দেখা যায় নৌকার প্রতিকৃতি, রঙ-বেরঙের বেলুন-ফেস্টুন। নারী কর্মীদের সাজতে দেখা যায় লাল-সবুজ শাড়িতে। পুরুষদের গায়ে লাল-সবুজ টি-শার্ট এবং মাথায় লাল-সবুজেরই ক্যাপ। দুপুর নাগাদ জাতীয় পতাকার রঙিন পোশাকে বর্ণিল হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগে শীর্ষ নেতারা। সমাবেশস্থল নির্বিঘ্ন রাখতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com