মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৬

প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:২৪:০৩ অপরাহ্ন

ফুলবাড়িয়ায় বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্বের ১৭ বছর পর সমঝোতা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়মনসিংহ ৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে বিএনপির সাথে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতে ইসলামীর দীর্ঘ ১৭ বছর পর অবশেষে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সমঝোতা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বাদশার বাসভবনে বিএনপির ও জামায়াতের নেতারা বৈঠকে বসেন। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শামস উদ্দিন আহমদ ও জামায়াতের জেলা আমীর অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে উভয় দলের ১৫ জন নেতা বৈঠকে বসেন। দলীয় নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা যায়। দীর্ঘ সময় বৈঠকে পর জোটের দুই দলের মধ্য সমাঝোতা হয়েছে বলে উভয় দলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। দুই দলের ১৭ বছরের দ্বন্দ্বের অবসান হওয়ায় নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বসিত দেখা যায়। সমঝোতা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিএনপি জামায়াতের নেতারা একসাথে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। শেষ দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন শোনা যায় প্রায় দেড় যুগ পর জামায়াত বিএনপি সমঝোতা হচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন ময়মনসিংহ ৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে চার দলীয় জোটের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। জোটের মনোনয়ন না পেয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শামছ উদ্দিন আহমদ স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। তৎকালীন সময় আ’লীগের প্রার্থী মো. মোসলেম উদ্দিন নৌকা প্রতীকে ৫২ হাজার ৬২১ ভোট ও চারদলীয় জোটের অধ্যাপক জসিম উদ্দিন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ৪৭ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়েছিল। কুলা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ৫৬ হাজার ৫৭৩ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় ইঞ্জিনিয়ার শামছ উদ্দিন আহমদ। এরপর থেকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। ১৭ বছরের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় জামায়াতে ইসলামী। উপজেলা জামায়াতে আমীর ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক শামীম জানান, জোটের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ কিছু ভুল বোঝাবোঝি ছিল যা সমাধান হয়ে গেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শামছ উদ্দিন আহমদের ধানের শীষের পক্ষে জামায়াতে সকল নেতাকর্মীদের ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার শামছ উদ্দিন আহমদ বলেন, জোটের শরীক জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাদের সাথে ভুল বোঝাবোঝি ছিল, উভয় দলের নেতারা বসে ভুল বোঝাবোঝির অবসান হয়েছে। সবাই একসাথে নির্বাচন করে ধানের শীষকে বিপুল ভোটে বিজয় নিশ্চিত করবো।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com