বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:৫১

প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

ইজতেমা নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান, বৈঠকে বসছে সরকার

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা ও তিন চিলার সাথীদের পাঁচ দিনের জোড়ের তারিখ নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে তাবলিগের দুই পক্ষ। চলমান এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসনে উভয়পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসছে সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রণালয় ও তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা গেছে, বৈঠক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের প্রধানগণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বুধবার রাতে রাইজিংবিডিকে বলেন, তাবলিগ জামাতের ইতিহাসে এ প্রথম ইজতেমা ও জোড়ের তারিখ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলো। বিষয়টি সমাধানে বেশ কয়েকবার তাবলিগের উভয়পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছে, বিধি-নিষেধ আরোপ করে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান হচ্ছে না। তাই বৃহস্পতিবারে বৈঠকে দুই পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারণী কর্মকর্তা বসবেন। জানা গেছে, তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও নিজামুদ্দীন মার্কাজের বিরোধিতা করছেন পাকিস্থানের তাবলিগি নেত্রীবৃন্দ। তাই তাবলিগের মূল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজামুদ্দীন মার্কাজের সমান ক্ষমতা দাবি করে আলমি শুরা গঠন করে রাইভেন্ড মার্কাজ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশদারিত্বের বিবাদে দিল্লি-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রধানকেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে এ বিভক্তি। ১১ জন শুরা সদস্যের মাঝে ছয়জন নিজামুদ্দীনের পক্ষে থাকলেও বাকি পাঁচজন আলমি শুরার পক্ষে অবস্থান নেন। এ অংশের বিরোধিতায় বিগত বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ ও নিজামুদ্দীনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ এসেও ইজতেমায় অংশ নিতে পারেননি।পরে কাকরাইল মসজিদে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুরব্বিদের উপস্থিতিতে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর তিনচিল্লার সাথীদের জোড় এবং ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন। এর বিরোধিতা করে ডিসেম্বরের ৭ থেকে ১১ জোড় এবং জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে অপরপক্ষ। এ দ্বন্দ্ব নিরসনেই বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিদের মধ্যে শুরা সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নাল আবেদিন, পুলিশের আইজি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, মন্ত্রিপরিষদ ও সেতু বিভাগের সচিব উপস্থিত থাকবেন। তাবলিগ জামাতের আলেম উপদেষ্টাদের মধ্যে শোলাকিয়া ঈদগাহর খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ ও গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমূদুল হাসানও উপস্থিত থাকবেন এ বৈঠকে।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com