রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ০৯:১০

প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন

বিভেদের কারণে হারলে পদ ছেড়ে চলে যাব

বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোন্দলের কারণে নৌকার প্রার্থীরা পরাজিত হয়ে সরকার গঠন করতে না পারলে দলের সভাপতির পদ ছেড়ে দেবেন। গতকাল সকালে গণভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারীদের উদ্দেশে রাখা বক্তব্যে এমন কঠোর বার্তা দেন তিনি। এ সময় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারী চার হাজার ২৩ জনের প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার বক্তব্যে শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন একটি বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এতে জয়ের গুরুত্ব মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নানা সমালোচনাও করেন। নির্বাচনের তারিখ আর না পেছানোর পক্ষে নিজের অবস্থানও জানান। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ না হলে শেখ হাসিনাকে ‘বেটে খাওয়ালেও’ নির্বাচনে জেতা যাবে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। নৌকাকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রার্থী আছে। অনেক জায়গায় প্রার্থীর ভোট আছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের ভোট কম। আবার অনেক জায়গা আছে যেখানে আওয়ামী লীগের ভোট আছে, কিন্তু প্রার্থীর ভোট কম। আমাদের সেই প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে যে জিততে পারবে। কিন্তু এমন যদি হয়, একজনকে প্রার্থী দিলাম আর ১৫ জন মিলে বললেন, আয়, এবার একটা শিক্ষা দেব। তাহলে কিন্তু হবে না। তখন কী হবে? আমরা সরকার গঠন করতে পারব না। আসবে কারা? এটা নিয়ে সন্দেহ আছে? তাদের আসতে দেবেন?’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, যারা খুনি, তারা যদি ক্ষমতায় আসে তবে দিন-রাত পরিশ্রম করে যা অর্জন করেছি সব শেষ হয়ে যাবে, সব শেষ হয়ে যাবে। আর তা যদি করেন তবে আমাকে আর পাবেন না। এটা আমি বলে দিচ্ছি। আমি আওয়ামী লীগের পদ ছেড়ে চলে যাব। বাংলাদেশকে কষ্ট করে উন্নয়নের এই জায়গায় নিয়ে এসেছি। ওরা ক্ষমতায় এসে এটা ধ্বংস করুক চাই না। এ জন্য সবাই কথা দিয়ে যান যাকে মনোনয়ন দেব, সবাই এক হয়ে তাকেই জেতাবেন। অনেকের মধ্যে ক্ষোভ আছে, রাগ আছে। জনগণের মধ্যে যার ভোট বেশি তাকেই মনোনয়ন দেব। যত বড় নেতাই হোক, জনগণের মধ্যে যদি ভোট না থাকে তবে তাকে মনোনয়ন দেব না। কিন্তু যাকেই দেব তাকে জিতিয়ে আনতে হবে। ’ বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে—এটাও মাথায় রাখতে হবে। তারা কিভাবে মানুষ পুড়িয়ে মারে, মানুষের জীবন নিয়ে খেলে। তারা ক্ষমতায় এলে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। তাদের হাতে কি দেশ তুলে দেবেন?’ এ সময় উপস্থিত নেতারা উচ্চস্বরে ‘না’ বলেন। তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘কথা দিলেন তো?’ নেতারা বলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা কি ক্ষমতায় যেতে চান?’ নেতারা বলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষমতায় যেতে হলে কী করতে হবে? যাকে মনোনয়ন দেব তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ’ প্রতিটি সিটের মূল্য আছে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিটি আসনে জয়লাভ জরুরি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি সিটের মূল্য আছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। ১৯৯১ সালে, ২০০১ সালের কথা মনে করেন। অনেকেই ভেবে ছিল—উন্নয়ন করেছি, আমরা তো সিট পাবই। একটা সিট না পেলে কী হবে। এমনটা কিন্তু অনেকেই ভেবেছিল। মনে করে দেখেন। সেই রাজার পুকুরে দুধ ঢালার ঘটনার মতো। এবার সেই অবস্থার যেন সৃষ্টি না হয়। এটা মনে রাখবেন। কারণ পর পর আমরা দুইবার ক্ষমতায়। এটা আমাদের থার্ড টাইম। সব মিলিয়ে চারবার। সুতরাং প্রতিটি সিটকে গুরুত্ব দিতে হবে। ’ কৃষক ধান কেটে নৌকায় ভরেই ঘরে আনে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিভিন্ন দলে ভেড়া নেতাদের যুক্তফ্রন্ট গঠন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি, জয়, পুতুল—আমাদের তিনজনকে প্রতিনিয়ত অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে। জয়কে তিনবার ডেকেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট (যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর)। কেন? ওই ড. ইউনূসের জন্য। এখন আবার তারা এক হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট করেছে। তারা নির্বাচনে এসেছে, আমি তাদের স্বাগত জানাই। নির্বাচনের মাঠেই প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণ কাকে চায়। ঐক্যফ্রন্টের অনেকে আগে নৌকায় ছিল। নৌকা থেকে নেমে গিয়ে ধানের শীষ ধরেছে। কৃষক কিন্তু ধান কেটে নৌকায় ভরেই ঘরে নিয়ে আসে। এটা তারা ভুলে গেছে। ’ ঐক্যফ্রন্টের নাটাই তারেকের হাতে, নির্বাচন আর পেছানো যাবে না রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগপ্রধান বলেন, ‘আমি কিন্তু সবার সঙ্গে বসেছি। যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে তাদের সঙ্গেও কিন্তু বসেছি। কাউকে বাদ দেইনি। আমি আওয়ামী লীগ সভাপতি, জাতির পিতার কন্যা সে জন্য আমি সবার সঙ্গেই বসেছি। একুশে আগস্টের হত্যাকারী, জাতির পিতার খুনি সবার সঙ্গেই বসেছি। তাদের বলে দিয়েছি, নির্বাচনে আসেন শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। জোর করে ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা আমাদের নাই। ’ তিনি বলেন, ‘তারা (ঐক্যফ্রন্ট) নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে নির্বাচন পেছানোর। কমিশন নির্বাচন পিছিয়েছে। তবে আমি বলব, আর কিন্তু নির্বাচন পেছানো যাবে না। কারণ এদের মতলব আমি বুঝতে পারছি না। এই ঐক্যফ্রন্ট ঘুড়ির মতো উড়ছে, নাটাই কিন্তু এদের হাতে নেই। নাটাই তারেক জিয়ার হাতে। একুশে আগস্টের সাজাপ্রাপ্ত, মানি লন্ডারিংয়ের সাজাপ্রাপ্ত তারেকের হাতেই কিন্তু এরা উড়ছে। এত বিলাসিতার সঙ্গে তারেক চলে কিভাবে? জিয়াউর রহমান তো ভাঙা স্যুটকেস ছাড়া আর কিছুই রেখে যান নাই। তাহলে এত বিলাসিতার জীবন আসে কোথা থেকে সেটাই আমার কাছে বড় প্রশ্ন। ’ স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদ, পৌর মেয়র, সিটি করপোরেশনে অনেককে মনোনয়ন দিয়েছি। তাঁরা ইতিমধ্যেই জিতেছেন। তাঁদের আর দরকার নেই। ’ এত প্রার্থী তো নেতৃত্বের ব্যর্থতা বিপুলসংখ্যক নেতার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেক আসনে ৫২টা, ২১টা, ১৫টা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ হয়েছে। খুব ভালো কথা। আমি খুব খুশি হয়েছি। না হলে দলের ফান্ডে এতগুলো টাকা জমত কিভাবে! ১১ কোটির বেশি টাকা জমা পড়েছে, খুব ভালো কথা, দলের লাভ হয়েছে। তবে এর খারাপ দিকটা আপনারা কি উপলব্ধি করতে পারেন? আমি যদি বলি, নেতৃত্বের ব্যর্থতা। আপনারা সবাই প্রার্থী হয়েছেন। একজন নেতৃত্ব দিয়ে সবাইকে একসঙ্গে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে পারেন নাই বলেই তো এত প্রার্থী। আপনারা বলেন তো এত প্রার্থী, কার কী যোগ্যতা আছে, আমি কিভাবে হিসাব করব?’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যবার আমরা সবাইকে ডাকি, কথা বলি। কিন্তু এবার তো চার হাজার। আপনারাই বলেন, এত ক্যান্ডিডেটের সঙ্গে কি বসা সম্ভব? সবার সঙ্গে বসতে চাইলে তো দুই মাস লেগে যাবে। আগে ডেকেছি যাতে তারা মনের কথা বলতে পারে। কিন্তু এবারে এত প্রার্থী হওয়ায় সম্ভব হলো না। ’ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিরোধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যে গিবত করে, আমি বলব সে সবচেয়ে বেআক্কেল। হ্যাঁ, কারো যদি কোনো খারাপ দিক থাকে আমরা শুনব। জানার চেষ্টা করব। কিন্তু এভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করে কার হাতকে শক্তিশালী করছেন? শত্রুর হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন। যতই উন্নয়ন করি না কেন, নিজেদের মধ্যে এত সমস্যা থাকলে জনগণ ভোট দেবে কেন? ১৯৯৬ থেকে ২০০০ তো কম উন্নয়ন করিনি। এত কিছু করার পরও আমরা ভোট পাইনি। এবারও অনেক উন্নয়ন করেছি। সরকারি চাকরিজীবীদের তো কয়েক গুণ বেতন বাড়িয়েছি। গার্মেন্ট শ্রমিকদের অনেক বেতন বেড়েছে। পৃথিবীর কোন দেশ আছে যেখানে এত বেতন বাড়ে? নিজের দলের নেতার বিরুদ্ধে না নেমে জনগণের কাছে এসব উন্নয়ন তুলে ধরেন। এর বিরুদ্ধে, ওর বিরুদ্ধে না বলে উন্নয়ন প্রচার করলেও তো ভোট বাড়ে। ’ জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হবে মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনোনয়ন তো আমরা এমনি এমনি দিই না। আমার কাছে সার্ভের রিপোর্ট আসে। প্রথম বছর থেকেই তো আমরা সার্ভে করছি। প্রত্যেক বছর সার্ভের রিপোর্ট আসছে। আমি সেগুলো দেখছি। এত কিছুর পর তো আমরা একজনকে বাছাই করছি। এরপর আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাড়া করে সার্ভে করেছি। এখনো করছি। গতকালও একটা রিপোর্ট এসেছে। অনেক কিছু বিবেচনা করেই আমরা মনোনয়ন দেব। আওয়ামী লীগে অনেক নেতাই যোগ্য। আমি কাউকে অযোগ্য বলি না। আমার দলের নেতাদের যদি আমি ভালো না বলি তবে অন্যরা বলবে না। কিন্তু সবাইকে মনোনয়ন দিতে পারব না। এক আসনে একজনকে দেব। আপনাদের মাথায় রাখতে হবে, অনেক কিছু হিসাব করেই মনোনয়ন দেওয়া হয়। অমুক জনপ্রিয়, এটা মুখে বললেই হয় না। নির্বাচন একটা অঙ্কের মতো। ’ জরিপের কাজের নমুনা বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সার্ভেতে অনেক কৌশল থাকে। যেমন—একজন এমপির জয়প্রিয়তা জানার জন্য কিছু প্রশ্ন করা হলো। এমপির নাম কী? এমপি কেমন? উত্তরে যদি নাম বলতে পারে তাহলে বোঝা যায় এমপিকে চেনে। কেউ উত্তরে বলল খুব ভালো, কেউ বলল মোটামুটি, কেউ বলল ভালো নয়, কেউ চুপ থাকল। এখন যারা চুপ থাকল, যারা ভালো না বলল, এদের যোগ করলেই তো বোঝা যায় আমার এমপির অবস্থা কেমন। এভাবেই তো বেরিয়ে আসে জনপ্রিয়তা কেমন। বিভিন্ন পেশার মানুষ, এক-দুইজন নয়, কয়েক হাজার হিসাব করে আমরা রিপোর্ট তৈরি করি। প্রতিদিন আমরা কাজ করছি। গতকালও রাত ১টা পর্যন্ত কাজ করেছি। আমরা কষ্ট করছি। যে প্রার্থী দেব সেই প্রার্থী জিতবে যদি আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করি। আর যদি বলেন, দেখি, প্রার্থী দিয়েছে, জিতুক। তাহলে তো জিতবে না। এটা হলো বাস্তব। ’ বিভেদ থাকলে নেত্রীকে বেটে খাওয়ালেও ক্ষমতায় আসবেন না দলীয় বিভেদ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘরের মধ্যে যদি বিভেদ হয়, তাহলে তো আর কিছু লাগে না। অনেকে মনে করছেন, পর পর দুইবার ক্ষমতায় আছি, নেত্রী এবারও এমপি বানিয়ে আনবেন, ক্ষমতায় আনবেন—এটা ভুল। নেত্রীকে বেটে খাওয়ালেও আসবেন না; যদি আপনারা ঐক্যবদ্ধ না থাকেন, ঠিক না থাকেন। এটা হলো বাস্তব কথা। ক্ষমতায় আসতে হলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। কাউকে দেখতে না পারেন ভালো কথা। কিন্তু নৌকার পক্ষে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এবারের ইলেকশন চ্যালেঞ্জিং। আমরা টাকা ছড়াতে পারব না। কিন্তু ওদের তো হাজার হাজার কোটি টাকা। মানি লন্ডারিংয়ের টাকা, দুর্নীতির টাকা। তারা টাকা ছড়াবে। টাকা ছড়িয়ে সবই কিনে নিতে পারবে। ’ রেহানা এখনো লন্ডনে বাসে অফিসে যায় স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা নিজের পরিবারের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘আমার সন্তানদের আমি লেখাপড়া শিখিয়েছি। ওদের বলেছি, লেখাপড়াই তোমাদের সম্পদ। আমি অন্য কিছু দিয়ে যেতে পারব না। আমাদের জীবন মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে ওদের ওভাবেই গড়ে তুলতে পেরেছি। আমি ও আমার বোনের পরিবারের সবাই এভাবেই গড়ে উঠেছে। রেহানা এখনো বাসে চড়ে লন্ডনে অফিসে যায়, ঘোরাফেরা করে। আমাকে তো অনেকেই দেখেছেন। ছাত্রজীবনেও দেখেছেন, এখনো দেখছেন। আমরা নিজেদের জন্য রাজনীতিতে আসিনি। দেশের মানুষের জন্য এসেছি। আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার জন্য এসেছি। চেয়েছি আওয়ামী লীগ হবে বাংলাদেশে এক নম্বর পার্টি। আর কিছু চাইনি। ’ এই নির্বাচন হলো তরুণ প্রজন্মের জন্য তরুণসমাজকে আকৃষ্ট করার দিকে গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তরুণসমাজের বিশাল ভোট। তাদের কথা ভাবতে হবে। তারা কিন্তু হাতের মধ্যে একটা মোবাইল ফোন নিয়ে বিশ্বকে দেখে। তাদের কথা ভাবতে হবে। এটা অন্য কোনো দল করবে না। এটা আওয়ামী লীগ করবে। এই নির্বাচন হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের জন্য। ’ আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বক্তব্য শেষ করেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র কবিতার কয়েকটি লাইন দিয়ে—‘এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান...এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। ’
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com