বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:৫৭

প্রকাশিতঃ সোমবার, ২০ আগস্ট ২০১৮ ০১:৪৭:২৩ অপরাহ্ন

ছোট ও মাঝারি গরুতে নজর বেশি

কোরবানির হাটে দেশি-বিদেশি গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও গতকাল রবিবার পর্যন্ত বেচাকেনা তেমনভাবে জমেনি, এমনকি দামও চড়া-ই রয়েছে। শেষ দুই দিনের আশায় বিক্রেতারা বসে আছে, আবার ক্রেতারাও হাটে ভিড়ছে কম। অনেকেরই ধারণা, এবার গরুর সরবরাহ বেশি থাকায় শেষ দিনে দাম কম থাকতে পারে। আবার শহর এলাকায় গরুর রক্ষণাবেক্ষণও ঝামেলাপূর্ণ হওয়ায় আগেভাগে গরু না কেনার পক্ষেই বেশির ভাগ মানুষ। তবে অনেকে গরু না কিনলেও গত দুই-তিন দিনে হাটে হাটে ঘুরে দামদর দেখেছে। যদিও আজ সোমবার থেকে কেনাবেচা জমে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। শুধু ঢাকাতেই নয়, ঢাকার বাইরের হাটগুলোতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। ঢাকার পাশেই গাজীপুর মহানগরীর পশুর হাটগুলোতে এখনো জমে ওঠেনি বেচাকেনা। দুটি স্থায়ী ও ২০টি অস্থায়ী মিলিয়ে গাজীপুর মহানগরীতে পশুর হাট বসেছে ২২টি। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের হোসেন আলী জানান, ২৫টি গরু নিয়ে শনিবার গাজীপুরে আসেন। এর মধ্যে ১৫টি বড় আকৃতির। বাকিগুলো মাঝারি। এ পর্যন্ত যে চারটি গরু বিক্রি হয়েছে তার সবই মাঝারি। তিনি বড় গরুর প্রতিটি দুই লাখ ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা করে দাম চাচ্ছেন। ক্রেতা ৫৫-৬০ হাজার করে দাম করছে। চট্টগ্রামে বিভিন্ন জেলা থেকে দিনে ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাকভর্তি গরু আসছে। বেচাকেনা যা হচ্ছে তার বেশির ভাগই মাঝারি আকৃতির। মিয়ানমারের গরুও দেখা যায় বিভিন্ন হাটে। কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান জানান, কুমিল্লায় এবার ২৮৫টি কোরবানির পশুর হাট। পশুর চাহিদা রয়েছে তিন লাখ ৪০ হাজার। মজুদ রয়েছে তিন লাখ চার হাজার ১৩৬টি। ইতিমধ্যে জেলার বাইরে থেকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাটে ৫০ হাজারেরও বেশি কোরবানির গরু এসেছে। নাটোরের দেশীয় খামারিদের গরু-খাসিতে ভরে গেছে জেলার ১৩টি কোরবানির পশুর হাট। এবার ভারতীয় গরুর তেমন আমদানি না থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় এসব গরু। পাবনায় চতুর বাজার ও নাকালিয়া গরুর হাটে দেশি গরুর আমদানি কয়েক গুণ বেশি। ফলে অনেক গরু অবিক্রীত থেকে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিক্রেতারা। হাটে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত একেকটি গরুর দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা। বরিশালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর পশুর হাটগুলো। তবে বিক্রি গতকাল পর্যন্ত তেমন জমে ওঠেনি। ময়মনসিংহে আজ (সোমবার) থেকে শহরের সার্কিট হাউস মাঠে গরুর হাট পুরোপুরি জমে উঠবে। গতকাল রবিবার বিকেলে সার্কিট হাউস মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, গরু-খাসি নিয়ে ব্যবসায়ীরা এসেছে। ক্রেতাও আছে, তবে কেনাবেচা কম। প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা, আঞ্চলিক প্রতিনিধি পাবনা, নাটোর ও রাজবাড়ী এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল অফিস।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com