শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:৩৬

প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৮ ১১:৩১:২৯ পূর্বাহ্ন

বিদ্যুৎ নেই, রোগীর টাকায় তেল কিনে অপারেশন!

পাঁচদিন আগে সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন সদর উপজেলার গোবিন্দপুরের মহব্বত আলী। কিন্তু হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় সময় মতো অপারেশন হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, জেনারেটরের জন্য ১০ লিটার তেল কিনে দিলে অপারেশন হবে। শেষে তেল কিনে দেওয়ার পরই অপারেশন করা হয়। শুধু মহব্বত আলী নন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী ও তাদের স্বজনেরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। প্রচণ্ড গরম আর রোগীদের ভিড়ে নাভিশ্বাস উঠছে সবার। এছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় সদর হাসপাতালে দৈনন্দিন ব্যবহার্য পানিরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে। শনিবার (১৮ আগস্ট) সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়ে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ নেই আতিকুর রহমান নামে হাসপাতালে আসা এক রোগীর স্বজন বাংলানিউজকে জানান, পরিবারের এক সদস্য হাসপাতালে ১০দিন আগে ভর্তি হয়েছে। এরপর থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে বিদ্যুৎ ও পানি নেই। একটা জেলা শহরের হাসপাতালের অবস্থা এমন হতে পারে না। এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ আগে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি নষ্ট হয়ে যায়। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ১৫০ কেভি পাওয়ারের ট্রান্সফরমার প্রয়োজন। বিদ্যুৎ অফিসে বারবার বলা হলেও তারা ৫০ পাওয়ার কেভির বেশি ট্রান্সফরমার দিতে পারছে না।’ এ বিষয়ে খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতরে ১৫০ পাওয়ার কেভি ট্রান্সফরমর চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নতুন ট্রান্সফরমার পাওয়া গেলে অপারেশনসহ যাবতীয় সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘৫০ কেভি পাওয়ারের ট্রান্সফরমার লাগানো হয়েছে কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। বর্তমানে হাসপাতালে ২৫০-৩০০ জন রোগী ভর্তি আছে। দূর-দূরান্ত থেকে অপারেশন করতে আসা রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন। হাসপাতালে অপারেশন করা আপাতত বন্ধ আছে।’ রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তেল কিনে জেনারেটর চালিয়ে অপারেশন করার কথা স্বীকার করে সিভিল সার্জন বলেন, ‘আলাদা করে তেল কিনে জেনারেটর চালানোর জন্য কোনো বরাদ্দ নেই এই হাসপাতালে। এজন্য এমনটা করতে হচ্ছে।’ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘নতুন ১৫০ কেভি ট্রান্সফরমারটি দুই একদিনে মধ্যে হাতে পাওয়া যাবে। নতুন ট্রান্সফরমার হাতে পেলে আগের মতো অপারেশনসহ যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হবে।’
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com