শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৫৬

প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮ ০৪:১৭:৩২ অপরাহ্ন

দামি লেখক-সাংবাদিকদের অপরাধ কী কারণে অপরাধ নয়, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

পাকিস্তানি চিন্তাচেতনায় বিশ্বাসীরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দামি দামি লেখক-সাংবাদিকরা অপরাধ করলে তাদের অপরাধ কী কারণে অপরাধ নয়? লেখার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু লেখার মাধ্যমে দামি লেখক-সাংবাদিকরা দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন, সে উপলব্ধি কি তাদের থাকবে না? উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে অন্যায় হয়ে যাবে?’ বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৫ আগস্টে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা শিশুদের নিয়ে খেলতে চেয়েছিল, শিশুদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ফায়দা হাসিল করতে চেয়েছিল, তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। বাস দুর্ঘটনায় দুই শিশু মারা গেছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলনে একদল উসকানি দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে উসকানি দিয়ে দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। পাকিস্তানি চিন্তা-চেতনা যাদের মধ্যে রয়েছে, যারা সবুর খানের বংশধর, তারা এর (শিক্ষার্থীদের আন্দোলন) উসকানিদাতা।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের আন্দোলনে পুলিশ প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ ধৈর্য্য দেখিয়েছে। কিন্তু এ আন্দোলনকে নিয়ে বুড়ো হাবড়ারা কেন শিশু হয়ে গিয়েছিল। তাদের শিশু হওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল কেন?’ বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘স্কুল ড্রেস বানানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছিল, দর্জিরা স্কুল ড্রেস সাপ্লাই দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। শিশুদের ব্যাগে থাকবে বই-খাতা-কলম, কিন্তু সেখানে চাইনিজ কুড়াল, পাথর কেন? সেসব বুড়া হাবড়াদের গ্রেফতার করলে কেন হাহাকার? বড় বড় লেখক-সাংবাদিকরা কী সেটা দেখবেন না, লিখবেন না? তাদের কলমের কালি কী ফুরিয়ে গেলো? যে যত বড়ই হোক, যারা অন্যায় করবে, তাদের বিচার কি এদেশে হবে না?’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী সবুর খানের আত্মীয়রা বংশ পরম্পরায় দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। জনগণকে বলবো, এদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কারণ তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা গণতন্ত্র চায় না, দেশের ভালো চায় না। তারা কেবল নিজেরা ভালো থাকতে চায়। এদেশে আর খুনিদের রাজত্ব আসবে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের চক্রান্তের সঙ্গে শুরু থেকে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল বলেই পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। সবাই তাকে বাহবা দিলো, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলে! কিন্তু অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা দখল করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে যে রাষ্ট্রপতি হয়, সে গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয় কী করে?’ তিনি বলেন, ‘জিয়া রাষ্ট্রপতি হয়ে ঘোষণা দিলো, আমরা দুই বোন যেন কোনোদিন দেশে ফিরতে না পারি। কারণ আমি ও আমার বোন শেখ রেহেনা দেশে ফিরে রাজনীতিতে দাঁড়ালে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়াবে, আর এতে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হবে। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচন করে। এরপর আমি দেশে ফিরে আসি।’
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com