শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:২০

প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ০৪:১৫:০৫ পূর্বাহ্ন

ডোকলাম হাতে চায় চিন, অস্বস্তিতে ভারত

ডোকলাম নিয়ে দীর্ঘ সংঘাতের পর জট খুলেছিল। কিন্তু ফের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে সাউথ ব্লকে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি ভুটানকে প্রস্তাব দিয়েছে চিন— ডোকলামের ২৬৯ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ড তারা নিতে চায়। বিনিময়ে দক্ষিণ চিনের পাসামলুং এবং জাকারলুং উপত্যকার ৪৯৫ কিলোমিটার জমি তারা থিম্পুকে ছেড়ে দিতে তৈরি। এই দু’টি ভূখণ্ডের দখল কার, তা নিয়েও মতভেদ রয়েছে চিন ও ভুটানের। প্রস্তাবটি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও আলোচনা এগোচ্ছে দু’দেশের মধ্যে। দু’টি দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি হলে, তৃতীয় দেশের কিছু বলার থাকে না। বিদেশ মন্ত্রক বলছে এ’টিই সব চেয়ে বেশি অসহায়তার ক্ষেত্র। কারণ বিষয়টি নিছক অন্য দু’টি দেশের হলেও বেজিং যে ভূখণ্ডটি দখলে আগ্রহী, সেটি শিলিগুড়ি করিডর থেকে খুবই কাছে। গত বছর এখানেই ভারত এবং চিনের সেনারা মুখোমুখি প্রায় তিন মাসেরও বেশি দাঁড়িয়েছিল। এই সংঘাতের ছায়া পড়ে ভারত চিন সম্পর্কেও। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ‘কড়া কূটনীতি’ থেকে সরে এসে দিল্লি তৎকালীন বিদেশসচিব এস জয়শঙ্করের প্রস্তাবিত দৌত্যের পথে হাঁটায় জট ছাড়ে। কিন্তু ভারতের ঘাড়ের কাছে থাকা ওই ভূখণ্ডে চিনা সক্রিয়তা যে অদূর ভবিষ্যতে ফের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে, ঘরোয়া ভাবে তা স্বীকার করেছে বিদেশ মন্ত্রক। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত কাল বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করে অস্বস্তিতে ফেলে দেন সরকারকে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশসচিব বিজয় গোখলে। সূত্রের খবর— রাহুল জানতে চান, ডোকলাম চিনের হাতে চলে গেলে নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারত ওই অঞ্চলে কী ভাবে নিজেদের তৈরি করবে? স্পষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারেনি বিদেশসচিব বা প্রতিরক্ষা সচিবের পক্ষে। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ডোকলামের দখল নিতে বেজিং বহু দিন ধরেই সচেষ্ট। এই ভূখণ্ডের দখল পেলে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে নজরদারি বাড়ানোই শুধু নয়, অবস্থানগত অনেক সুবিধাও আদায় করে নিতে পারবে চিন। ৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের ঠিক পাঁচ বছর পর ওই অঞ্চলে ভারতীয় সেনার হাতে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল চিনের সেনাদের। তারও অনেক পরে ৮৬ সালের ‘অপারেশন ফ্যালকন’-এর মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী চিনা সেনাকে ফেরত পাঠায় ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে রাস্তা বানানো অথবা সামরিক ঘাঁটি তৈরির জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে চলেছে চিন। কিন্তু সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক থাকায় সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু ডোকলাম চিনের দখলে চলে গেলে এই অঞ্চলে সতর্কতা অনেক গুণ বাড়াতে হবে— এমনটাই আশঙ্কা করছে কেন্দ্র। সূত্র: আনন্দবাজার
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com