রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫১

প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ০৪:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন

পানি পেলাম না, আক্ষেপ শেখ হাসিনার

মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য তিনি ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশ গঠনেও পাশে থেকেছে ভারত। তবে একটাই দুঃখ— দিদিমণি পানি (জল) দেন না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের এক দল সাংবাদিককে গণভবনে আপ্যায়নের সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, ‘‘যখন প্রশ্ন তুললাম তিস্তার পানির কী হল, (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বললেন, বিদ্যুৎ নিন। বললাম— আচ্ছা তা-ই দিন। যা পাওয়া যায় আর কী!’’ বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকা আত্রেয়ী ও চূর্ণীর জল নিয়ে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘এ সবই তিস্তার পানি না-দেওয়ার অজুহাত!’’ তবে তিস্তা নিয়ে আশা ছাড়ছেন না ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা’। তাঁর কথায়, ‘‘আবার এটাও ঠিক, উনি (মমতা) বলেননি, দেবেন না। আমরা আশা করছি দেবেন।’’ আর সেই আশাতেই তিস্তার শাখা নদীগুলিতে ড্রেজিং করছে ঢাকা। যাতে জল এলে দেরি না-করে তা ব্যবহার করা যায়। যদিও ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, তিস্তা চুক্তিই দু’দেশের সম্পর্কের শেষ কথা নয়। তিস্তা নিয়ে জটিলতা একটা বাস্তবতা। কিন্তু অন্য দিকগুলিতে সহযোগিতা সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার কথায়, ‘‘পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার দিল্লির সঙ্গে যে সহযোগিতা করেছে, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করা যাবে না।’’ হাসিনা নিজেও বলেন, ‘‘ঢাকা-কলকাতা বাস, মৈত্রী আর বন্ধন ট্রেন হয়েছে। ট্রানজিট দিয়েছি। চট্টগ্রাম আর মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দিয়েছি। কোনও বিষয়ে আমরা কার্পণ্য করিনি।’’ তাঁর আশ্বাস, ‘‘বাংলাদেশে চিনের বিনিয়োগ নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। বাংলাদেশের কাছে ভারত ভারতের জায়গাতেই থাকবে, চিন চিনের জায়গায়। ভারতের বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। চিন তো নতুন বন্ধু।’’ ভারতের ভূমিকা নিয়ে এক বারই আক্ষেপ করার কারণ ঘটেছিল বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘২০০১-এর ভোটে আমরা ভারতের সহযোগিতা পাইনি। তারা যাদের সহযোগিতা করেছিল, তারা কিছুই দেয়নি।’’ সামনেই সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে। তাতে কি বিরোধী দল বিএনপি যোগ দেবে? শেখ হাসিনার জবাব, ‘‘দেশে দলের অভাব নেই। তারা না-এলেও ভোট ঠিকই হবে।’’ বাংলাদেশের একটি ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’-এর আমন্ত্রণে ঢাকায় আসা ভারতীয় সাংবাদিকদের শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের ডাকিনি। প্রধানমন্ত্রী আজ আছি, কাল না-ও থাকতে পারি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে ভারতের মানুষকে আমি প্রাণের বন্ধু বলে মনে করি।’’ মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সাংবাদিকদের অবদানও স্মরণ করেন তিনি। তাঁর হাসিখুশি মেজাজের কারণ কী, জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘ভয়ে মুখ শুকিয়ে থাকি না আমি। ১৯ বার আক্রান্ত হয়েছি। সময় যখন আসবে মরতে হবেই।’’ তার পরে হেসে আবৃত্তি করেন, ‘‘জাহান্নমের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!’’
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com