শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৪৪

প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৮ ১২:৩১:১৩ অপরাহ্ন

ব্যক্তিগত কর্মকর্তার দুর্নীতির দায় মন্ত্রীরা এড়াতে পারেন না

ব্যক্তিগত কর্মকর্তার দুর্নীতির দায় নৈতিকভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এড়াতে পারেন না বলে মনে করেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. সা'দাত হোসেন। তিনি বলেছেন, অন্যান্য সরকারি চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ নানা পন্থায় যেভাবে তদন্ত করা হয় মন্ত্রীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাপারেও চাকরি দেয়ার আগে একইভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। মঙ্গলবার তিনি এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন। ড.সাদাত বলেন, 'পিএস ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তরা যদি কোনো অপরাধ করে এর নৈতিক দায়িত্ব যিনি তার বস তাকে নিতেই হয়। সরকারি অন্যান্য নিয়োগের ক্ষেত্রে এনএসআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা খোঁজ খবর নেন। তবে এই ক্ষেত্রে মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রাইভেট সেক্রেটারি নেয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাঁচাই করা প্রয়োজন।' প্রসঙ্গত, শিক্ষা প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রে ঘুষের ঘাঁটি গেড়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব ও উচ্চমান সহকারী নাসিরুদ্দিন। মন্ত্রীর দপ্তরে বসে তারা দিব্যি ঘুষের হাট বসিয়ে গড়েছেন অর্থ-বিত্তের পাহাড়। তাদের ঘুষ-দুর্নীতির বিষয়টি সচিবালয়েই ছিল ওপেন সিক্রেট। আড়াল-আবডালে বলাবলি হতো একই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। কিন্তু অদৃশ্য আশীর্বাদের কারণে তাদের টিকি ছোঁয়ারও সাধ্যি ছিল না কারও! ঘুষের হাটের এই কারবারিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কব্জায় আসায় এ নিয়ে তুমুল আলোচনা দেশজুড়ে। তোলপাড় চলছে প্রশাসনের কেন্দ্র সচিবালয়েও। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিজের দপ্তরে রেখে সততার দাবিদার মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। ঘুষ নিয়ে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কে আসা মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে এই অভিযোগে গ্রেফতারের পর অনেকে মন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনার যোগসূত্র তৈরির চেষ্টাও করছেন। দুই কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেফতারের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরো কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেফতার আতঙ্কে আছেন। তাদের বিরুদ্ধেও ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বিস্তর।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com