রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:২২

প্রকাশিতঃ শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৮ ০৫:০১:২৯ অপরাহ্ন

ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে যুবককে খুন করে ৮ টুকরা

জানুয়ারির শুরুর দিকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলায় হাত-পা ও মাথাবিহীন অজ্ঞাতপরিচয় যে লাশটি পাওয়া গিয়েছিল, তাকে ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে খুন করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্ত শেষে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য দেয়। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. সাইদুর রহমান বলেন, নিহত মো. মফিজুর রহমান (৪০) সাভার উপজেলার কাইসারচর ভাকুর্তা এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। ওই এলাকার বটতলা বাজারে তার একটি সোনার দোকান রয়েছে। তাছাড়া তিনি কবিরাজি করতেন। চলতি মাসের ২ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা সাইদুর বলেন, লাশ উদ্ধারের পর আশপাশের থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভার থানায় একটি নিখোঁজের জিডি হয়েছে। কিন্তু পরিবারকে খবর দিলেও তারা এসে মাথা ও হাত-পা না থাকায় লাশ শনাক্ত করতে পারেনি। পরে ডিএনও টেস্টে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। এরপর যে এলাকায় লাশ পাওয়া গেছে, সেই বেউতা এলাকায় অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা সাইদুর বলেন, “বেউতা এলাকার লোকজন জানায়, কবিরাজ মফিজুর মাঝে মধ্যে এই এলাকায় একটি বাড়িতে গিয়ে এক নারীকে (৩১) চিকিৎসা দিতেন। ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের তথ্য বেরিয়ে আসে। ওই নারীর দাবি, চিকিৎসার নামে ব্ল্যাকমেইল করে মফিজুর তাকে ধর্ষণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি একই এলাকার সালাহ উদ্দিন (২৮) ও সাভারের ভাকুর্তা এলাকার নজরুল ইসলাম নজুর (৩০) সঙ্গে লাখ টাকায় হত্যাকাণ্ড ঘটানোর চুক্তি করেন বলে স্বীকার করেছেন এই নারী।” ওই নারী, সালাহ উদ্দিন ও নজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা সাইদুর বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক, ৩১ ডিসেম্বর মফিজুল ওই নারীর বাড়িতে গেলে তরকারির সঙ্গে তাকে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। “ঘুমিয়ে পড়লে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করার জন্য দেহ থেকে মাথা, হাত ও পা আলাদা করে আট টুকরা করা হয়। নজরুল ও সালাহ উদ্দিন সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে টুকরাগুলো বিভিন্ন ডোবায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে দেন। কিন্তু দেহটি ভেসে ওঠে।” এর তিনদিন পর একই এলাকার আরেকটি ডোবা থেকে বিকৃত মাথাটি উদ্ধার করা হলেও হাত-পায়ের টুকরাগুলো এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, চাপাতি ও অটোরিকশা জব্দ করেছে। ঢাকার সহকারী পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার, ঢাকা দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ্ জামান, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com