রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৪০

প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৪৬:২০ অপরাহ্ন

আমি জানি আগামী বছর অনেক তোলপাড় হবে: মেনন

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন আমরা কি দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারায় ফিরে যাব নাকি উন্নতি সমৃদ্ধির দিকে যাব, কাকে বেছে নিব সে সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে। তবে আমি বলবো মন্দের ভাল হিসেবে আমরা বর্তমান সরকারকেই বেছে নিব। আমি জানি এ কথা বললে নারায়ণগঞ্জের মানুষ লাফ দিয়ে উঠবে। কারণ নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান সেলিম ওসমানরা রয়েছেন। তাদের কারণে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরী নিয়ে কি হয়েছে সেটা আমরা জানি। আমার দৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে যে লড়াই সেটা বুদ্ধিভিত্তিক লড়াই হয়েছে। সাধারণ মানুষকে জাগ্রত করা সেটা হয়নি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সাংগঠনিক শক্তি বাড়ান তাহলে দেখবেন শামীম ওসমান কেন অন্য কোন নেতা আসলেও কিছু করতে পারবেনা। ‘সামজিক ন্যায্যতা সমতা প্রতিষ্ঠাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোল’ এ প্রতিপাদ্যে শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসকল কথা বলেন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতি ও সেক্রেটারি হিমাংশু সাহার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জাকির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মনিরউজ্জামান কনক, সেক্রেটারি নূরে আলম বিপ্লব প্রমুখ। জঙ্গীবাদ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের টার্গেট ছিল দেশে প্রতিবছর ১০ লাখ পর্যটককে নিয়ে আসার। আমরা আমন্ত্রণও জানিয়েছিলাম। কারণ একজন পর্যটক আসা মানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হওয়া। কিন্তু দেশে একের পর এক ব্লগার হত্যা, বিদেশি হত্যার পরে হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলায় বিদেশি হত্যার কারণে বাংলাদেশে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গেল। জঙ্গীবাদের কারণে আজকে লিবিয়া, সিরিয়া, মিশর, আফগানিস্তানের কি অবস্থা আপনারা দেখছেন। আইএস এর কারণে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেছে। আমি জানি আগামী বছর অনেক তোলপাড় হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। এখন অবস্থা সময়ের এক ফোঁড়ের। তাই আমাদের ২১ দফা কর্মসূচী নিয়ে জনগণের দোড়গোড়ায় যেতে হবে। আওয়ামী লীগ বলছে বর্তমান সরকার বার বার দরকার। আর বেগম জিয়া বলছেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আর আমরা বলছি আজকে গণতান্ত্রিক যাত্রা ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে শুরু হয়েছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছাড়া দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছলেও লাভ নেই। আগে দেশে হাজার কোটি টাকার বাজেট হতো এখন লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গড় আয়ুস্কাল বেড়েছে। শিশু মৃত্যুর হার মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। আগে আমরা ৭ কোটি মানুষের ভরন পোষণ দিতে পারতাম না। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে ৬ লাখের অধিক মানুষ মারা গিয়েছিল। আজকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের রিজার্ভ বেড়েছে রফতানীতে আমাদের আয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এরশাদের শাসনামলে দেশের বাজেটের বেশীরভাগই থাকতো বিদেশি ঋণ নির্ভর। বিএনপির আমলে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয়া হলো। অনেক শ্রমিক আত্মাহুতি দিয়েছে। অনেকেই বেকার হয়ে গেছে। কৃষির প্রাণ বিএডিসির অনেক কর্মীকে ছাটাই করা হয়েছে। বিএনপি সরকার বলতো বেশী খাদ্য উৎপাদন করলে নাকি বিদেশি ঋণ পাওয়া যাবে। বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমানিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অনেক উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। দেশে বর্তমানে ১ লাখ ২৪ হাজার কোটিপতি রয়েছে। দারিদ্র সীমাও কমে ২৩ ভাগে এসেছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিক নেতারা তো এখন মালিকদের অনুগ্রহের মধ্যেই রয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তাসহ সবার বেতন বাড়লেও গত ৩ বছরে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরী বাড়েনা। দেশে ট্রেড ইউনিয়ন ঠিকমতো বাস্তবায়ন হয়না। সঠিক নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। তাই আমাদের নতুন নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com