রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৬

প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৩১:০৪ অপরাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপহরণের অভিযোগে পুলিশের হাতে পুলিশ গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর মডেল থানায় অপহরণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের অপর দুই সদস্য। তারা হলেন- সদর মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল শরীফুল ইসলাম। মঙ্গলবার সকালে অপহরণের শিকার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অপর আসামি সদর উপজেলার বেতবাড়িয়া এলাকার আল আমিনের স্ত্রী আঁখি আক্তার। মামলায় এএসআই রফিকুল, কনস্টেবল শরীফুলকে ও আঁখিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলা সূত্রের বরাত দিয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন জানান, গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের মসজিদ রোডস্থ পূবালী ব্যাংকের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন জাকির হোসেন। এ সময় আঁখি অসুস্থ্যতার ভান করে জাকিরের গায়ে ধাক্কা দিয়ে তাকে একটি রিকশায় উঠিয়ে দিতে বলেন। পরে রিক্শায় উঠিয়ে দিলে আঁখি তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। অসুস্থ্য হওয়ায় মানবিক কারণে জাকির তাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে রাজি হন। পরে আঁখির কথামতো জাকির তার বাড়িতে প্রবেশ করলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা সদর থানা মডেল থানা পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল শরীফুল ইসলাম তার চোখ বেঁধে হত্যার হুমকি দেন। এসময় তারা জাকিরের মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করে সেই টাকা বিকাশের মাধ্যমে এনে দেয়ার কথা বলেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরও বলা হয়, জাকির মুক্তিপণের টাকার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে এএসআই রফিকুল ও কনস্টেবল শরীফুলের কথা মতো কয়েকটি বিকাশ নম্বরে ৮৩ হাজার টাকা বিকাশে এনে দেন। আরও টাকা আনার জন্য জাকির আরেক আত্মীয়কে ফোন দিয়ে বিকাশ নাম্বার দিলে ওই আত্মীয় তাকে জানান বলে জানায় ওসি। পরে প্রযুক্তির ব্যবহার করে জানা যায় বিকাশ নম্বরটি শহরের মধ্যপাড়া এলাকার ‘মা জেনারেল স্টোর অ্যান্ড টেলিকম’র। বিষয়টি অপহরণকারীরা জানতে পেরে জাকিরকে বেধরক মারধর করে তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে শহরের পুনিয়াউট এলাকায় ফেলে দিয়ে যান। এরপর জাকির থানায় এসে পুরো ঘটনাটি ওসি নবীর হোসেনকে জানালে এদিন রাতেই এএসআই রফিকুল, কনস্টেবল শরীফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার সকালে আঁখিকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com