মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৮

প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৫৩:১৫ পূর্বাহ্ন

সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া

ঢাকা: আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী।এ দিন বিকেলে ক্যান্টনমেন্টের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এই অনুষ্ঠানেই একাধিকবার কথা হয়েছে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মধ্যে। দেশবাসীর নজর এখন সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানের দিকে যে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসন্ন সঙ্কট সমাধানের কোনো আশা উন্মোচিত হয় কিনা, সেদিকে। দুই নেত্রীর ভাব-বিনিময়ও যেন কাঙ্ক্ষিত হয়ে উঠেছে। আর সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলন মঙ্গলবার সেনাকুঞ্জে দেখা গেলে, সেটি হবে দেশবাসীর কাছে আনন্দের বার্তা। তবে এই দেখা ও কথা হওয়া-না হওয়ার পুরো বিষয়টিই এখনো অন্ধকারে। ২১ নভেম্বর বিকালে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়টি প্রায় অনিশ্চিত। দলীয় একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন কিন্তু তিনি বিশেষ কোনো কারণে আজ সেখানে যাচ্ছেন না। তবে দলের প্রতিনিধি হিসেবে কয়েকজন নেতা সেখানে যেতে পারেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন,‘খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে যাবেন কিনা,এ ধরনের তথ্য নেই। তিনি যদি যান তাহলে দেখা হবে,কথা হবে। তখন তো সবাই দেখবেন।’ একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ‘খালেদা জিয়া সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে যাওয়ার আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক সেনা প্রধানের স্ত্রী ও একজন বীর উত্তমের স্ত্রী হিসেবে দাওয়াত দেওয়া হয়।’ এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ খালেদা জিয়া সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তার আগের দু’বছরও অংশগ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ২০০৮ সালে সেনাকুঞ্জে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। ওই সময় তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের শেখ হাসিনা দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে বলেছিলেন। আর খালেদা জিয়ার ভাষ্য ছিল,‘কুশল বিনিময় হলো। জেলের মধ্যে কেমন ছিলাম, সে বিষয়ে কথা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে. অব. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেনাকুঞ্জে যায়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের কুশল বিনিময় হয়েছিল
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com