সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১০:২৬

প্রকাশিতঃ সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৭:২৮ অপরাহ্ন

নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব এবং উন্নত নৈতিকতার আদর্শে স্ব স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭ উপলক্ষে সোমবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সার্বিক নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রণীত হয় জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি। এই নীতির আলোকে বর্তমান সরকার ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করেছে । এছাড়াও পেশাগত দায়িত্বপালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং দেশ গঠনমূলক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করছে বলে বাণীতে উল্লেখ করেন তিনি। আগামীকাল সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সলে ২১ নভেম্বর দেশপ্রেমিক জনতা, মুক্তিবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। সম্মিলিত আক্রমণের ফলে ১৬ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তার দূরদর্শিতা, সাহস, ন্যায়ের প্রতি অবিচল আস্থা এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। ঐতিহাসিক এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন দেশমাতৃকার জন্য জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি জাতির পিতা একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। সেনাবাহিনীর জন্য তিনি মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আমর্ড স্কুল ও প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরো অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিট গঠন করেন। তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঘাঁটি ঈসা খাঁ উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৎকালীন যুগোশ্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য দু’টি জাহাজ সংগ্রহ করেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেগুলো প্রায় ৪০ বছর পর আজও চালু আছে। একইভাবে বিমান বাহিনীর জন্য বঙ্গবন্ধু তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুপারসনিক মিগ-২১ জঙ্গি বিমানসহ হেলিকপ্টার, পরিবহণ বিমান ও র্যাডার সংগ্রহ করেন। প্রধানমন্ত্রী ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com