রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ০৭:২৫

প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭ ১১:৪৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

বিচারপতিদের ঘুমিয়ে থাকলে হবে না: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ঢাকা: হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ মায়ের ফুটপাতে সন্তান প্রসবে হাইকোর্টের সুয়োমুটো রুল জারি করায় বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিরোধী দলের প্রায় ১৫-২০ নেতাকর্মী জেলে। তাদের জামিন কেন হয় না? এ বিষয়েও বিচাপতিদের ভূমিকা রাখা উচিত। বিচারপতিদের ঘুমিয়ে থাকলে হবে না। বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। তা নাহলে তাদের পরিনতিও এসকে সিনহার মতো হতে পারে। শুক্রবার রাজধানীর তোপখানাস্থ বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। চিরবিপ্লবী ভাষা সৈনিক অলি আহাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, জাতির সামনে আরো দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বাংলাদেশকে ভূটান-সিকিম বানাতে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভাসানী-অলি আহাদ-ভাষা মতিনের প্রদর্শিত পথে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। সরকারই সকল অনাচারের জন্য দায়ী উল্লেখ করে সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঘুষ-দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় সরকারের ব্যর্থতার কারণেই। ভাষা সৈনিক অলি আহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী ও বেগম খালেদা জিয়ার বাণী প্রদান না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, অলি আহাদ-ভাষা মতিনরা ভাষা আন্দোলন না করলে দেশ স্বাধীন হতো না। ভাষা আন্দোলনই হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ। আর দেশ স্বাধীন না হলে হাসিনা-খালেদা কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না। দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে অনেকই কোটিপতি হয়েছেন, তা নাহলে থালা নিয়ে রাস্তায় হাটতে হতো। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটি জাতির সবাই জাতীয় বীর নয়। জাতীয় বীর থাকে কয়েকজন। অলি আহাদ আমাদের তেমনই একজন জাতীয় বীর। যাদের কারণেই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। তাদের সম্মান না করলে অন্ধকার দূরিভূত হবে না। অলি আহাদকে শ্রদ্ধা জানাতে গণমাধ্যমগুলোর কার্পণ্যতার কথা উল্লেখ করে বলেন, মওলানা ভাসানী, অলি আহাদ, ভাষা মতিনের মত জাতীয় বীরদের সম্মান করতে না পারা জাতির জন্য লজ্জাজনক। তিনি বুধবার আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার সাহসী বক্তব্যের প্রসংশা করে বলেন, বেগম জিয়া সাহসী ও ভালো কাজ করেন। কিন্তু, সেটা দেরীতে করেন। আর এই কারণেই আন্দোলন গড়ে উঠে না। অলি আহাদ-ভাষা মতিনরা আন্দোলন সংগ্রাম বুঝতেন। তাদের প্রদর্শিত পথেই আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ভাষা সৈনিক আবদুল জলিল, ভাষা সৈনিক মতিনের স্ত্রী গুলবদন্নেছা মনিকা, পিডিপি মহাসচিব এহসানুল হক সেলিম, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কৃষক দল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, দেশবাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ। গুলবদন্নেছা মতিন বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ভাষা আন্দোলনের বিজয় ছিনিয়ে আনতে অলি আহাদ-ভাষা মতিনদের অবদান জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। তিনি ভাষা সৈনিকদের তালিকা প্রণয়ন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com