সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৫৪

প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ ১১:৪১:৫৭ অপরাহ্ন

‘বাইরের শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে চীন ও বাংলাদেশের সামরিক জোট গঠন করা উচিৎ’

যৌথভাবে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে রক্ষা করতে চীন ও বাংলাদেশের উচিত বাইরের শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে একটি সামরিক জোট গঠন করা এবং আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালানো। মঙ্গলবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এমনটাই বলেছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি। এসময় উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে যেতে একমত হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান যখন ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে সমন্বিত উদ্যোগে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে চলেছে তখনই এমন মন্তব্য করলেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাবকে থামাতেই নতুন ওই জোট কোয়াড গঠন করা হয়েছে। চীন এ ধরণের জোটের বিরোধিতা করে আসছে।

রাষ্ট্রপতিকে ওয়েই ফেঙ্গহি বলেন, প্রাচীনকাল থেকে চীন এবং বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এক দীর্ঘ ইতিহাস আছে। উভয় দেশই জাতীয় নবজাগরণ এবং উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অবস্থান করছে এবং উন্নয়ন কৌশল ও সহযোগিতার বিস্তৃত এক সম্ভাবনার মধ্যে সমন্বয় উপভোগ করছে। চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আরো বিস্তৃত উন্নয়নের জন্য সহযোগিতার দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত বিষয়ে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন। চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, সহযোগিতা আরো বিস্তৃত হচ্ছে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সফর আরো বাড়ানো উচিত। প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম, বিশেষায়িত ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিময় এবং সামরিক সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করতে সহযোগিতাকে আরো গভীর করা উচিত।

প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ এ সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্কে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং চীন সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু এবং কৌশলগত নির্ভরশীল সহযোগী অংশীদার। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি খুব গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশ এবং চীনের মৌলিক স্বার্থকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। তিনি আশা করেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে দুই দেশের সেনাবাহিনী। এর মধ্য দিয়ে নিজেদের সম্পর্কের আরো অগ্রগতি হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা খাতে চীনের শক্তিশালী সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ।

বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চীন বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ধরে রাখতে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা স¤পর্ক বৃদ্ধিতে চীনের প্রত্যাশাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হামিদ। তার প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন এ কথা জানিয়েছেন। আবেদিন বলেন, বেইজিং বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায়ও সাহায্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী ছিল বলে জানিয়েছেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী। একইসঙ্গে চীন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানেও কাজ করছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার ওয়েই ফিঙ্গেহ আরো সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে। এ সময় তারা আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ও সামরিক বিষয়েও আলোচনা করেন।

43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com