প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন
কূটনৈতিক জোনে নিরাপত্তা জোরদার
ঢাকার কূটনৈতিক জোনসহ বেশ কিছু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আসা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে গুলশান এবং বারিধারা এলাকা। ওই এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনগুলোতে অতিরিক্ত তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বসানো হয়েছে একাধিক তল্লাশি চৌকি। কোনো যানবাহনকে বেশি সময় সড়কে অবস্থান করতে দেয়া হচ্ছে না।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, আবাসিক ভবন ও হোটেলের সিসি ক্যামেরা সচল রাখতে বলা হয়েছে। হোটেলে আসা অতিথিদের তথ্য দেয়াসহ বিদেশি দূতাবাস ঘিরে বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নজরদারি। গতকাল সন্ধ্যায় সরজমিন গুলশান-২ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনগুলোতে অতিরিক্ত তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে গুলশান ক্লাবের তল্লাশি চৌকিতে অতিরিক্ত নজরদারি করা হয়।
ডিপ্লোমেটিক নিরাপত্তা জোনের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান মানবজমিনকে বলেন, আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য। সেই মোতাবেক আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) উত্তর বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, দুদিন পরেই একটি বিশেষ দিন (২৬শে মার্চ)। প্রতিটা বিশেষ দিনের আগে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করি। কারণ মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়া উৎসব পালন করতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো বিশেষ দিনের আগে কিছু নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে। কোনো মহল থেকে সরাসরি এরকম কোনো হুমকি না থাকলেও আমরা আমাদের মতো কাজ করে যাই। আর বিশেষ করে ডিপ্লোমেটিক জোন নিয়ে আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। বিশেষ দিনকে সামনে রেখে আমাদের গুলশান এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।