বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৩৭

প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:১৪:০৪ পূর্বাহ্ন

প্রসূতির পেটে মাথা রেখে নবজাতকের দেহ বিচ্ছিন্ন : দুই আয়া সাময়িক বরখাস্ত

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসবের সময় নবজাতককে তিন খণ্ড করে মাথা প্রসূতির পেটে রেখে খণ্ডাংশ ডাস্টবিনে ফেলায় জেসমিন ও শিরিনা আক্তার নামে দুই আয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা অনুসন্ধানের একদিনের মাথায় গঠিত তদন্ত কমিটিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তাদের বরখাস্ত এবং তদন্ত কমিটিতে একজন চিকিৎসকের নাম পরিবর্তন করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আবাসিক চিকিৎসক ডা. আহসানুল হক মিলুকে তদন্ত কমিটি থেকে সরিয়ে শিশু বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আশরাফুল ইসলামকে যুক্ত করা হয়। এর আগে গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তামান্না আফতাব সোলাইমানকে প্রধান করে আবাসিক চিকিৎসক ডা. মঞ্জুর রহমান এবং ডা. আহসানুল হক মিলুকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওইদিন রাতে ডা. আহসানুল হক মিলু কর্মরত থাকায় তদন্ত কমিটি থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. তামান্না আফতাফ সোলাইমান জানান, ‘তদন্ত কমিটির একজন সদস্য পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আমরা তদন্তের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।’ এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহম্মেদ কবীর বলেন, ডা. আহসানুল হক মিলু ঘটনার দিন রাতে কর্মরত ছিলেন। তাই অধিকতর স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোনে প্রসূতির ভাই আবু ইউসুফ জানান, তার বোনকে গত দুদিনে পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। সে বর্তমানে কিছুটা সুস্থ আছে। গত রোববার সকালে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের ডাস্টবিন থেকে এক নবজাতকের খণ্ডিত দেহ উদ্ধার করা হয়। মস্তকবিহীন খণ্ডিত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। এ ঘটনায় আলোচনার ঝড় উঠে। প্রথমে হাসপাতালের কেউ তা স্বীকার না করলেও জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে রোমহর্ষক এই ঘটনা।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com