বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৩:৪০

প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ০৪:৩৬:২২ অপরাহ্ন

যেকারণে ছাত্রলীগের ২৪ নেতাকর্মীকে গণধোলাই

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের ২৪জন নেতাকর্মীকে গণধোলাই দেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ ও হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার বিশ্বরোড এলাকায় বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান শিশির খবর পেয়ে বিকেলে তাদের ছাড়িয়ে নেন। জানা যায়, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. জাবেদ পাটওয়ারীকে বুধবার চাঁদপুরে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্নস্থান থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। কচুয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সুরমা পরিবহনের একটি বাস নিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। চাঁদপুরে যাওয়ার পথে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার বিশ্বরোড এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের সাথে তাদের হট্টগোল হয়। ফিরে আসার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্বরোড এলাকায় নেমে কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ভাংচুর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় প্রথমে তারা জয় বাংলা স্লোগান দেন। পরে আবার জিয়ার সৈনিক বলে স্লোগান দেন বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উল্টাপাল্টা স্লোগানের কারণে এবং গাড়ি ভাংচুর করায় বাজারের ব্যবসায়ী, জনগণ ও হাজীগঞ্জ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। তারা বাসযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন। হামলায় কচুয়া ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হন। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার এসআই আবদুল মান্নান তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। থানায় ২৪জন নেতাকর্মীর নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আবদুল মান্নান জানান, সকালে চাঁদপুর যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের বাসকে সাইড দেয়া নিয়ে সিএনজি চালকদের সাথে হট্টগোল হয়। এর প্রতিশোধ নিতে কচুয়ার নেতাকর্মীরা যাওয়ার পথে বিশ্বরোড এলাকায় গণ্ডগোল করার চেষ্টা করেছিল। পরে জনগণের ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাসটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ মোহন জানান, বিশ্বরোড এলাকায় তারা প্রথমে জয় বাংলা স্লোগান দেয়। পরে আবার জিয়ার নামে স্লোগান দিলে জনগণ তাদের ধাওয়া করে। ঘটনার খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আর কয়েক মিনিট দেরি হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। হাজীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল মান্নান জানান, বিকালে কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাদের (ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের) ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন। কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনায় এ অবস্থা হয়েছিল। নেতাকর্মীদের হাজীগঞ্জ থানা থেকে কচুয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com