রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৫

প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৮ ১০:৩১:৪৮ পূর্বাহ্ন

বাঘের আক্রমণে গরুর মৃত্যু: আতঙ্কে এলাকাবাসী

মোংলার সুন্দরবন সংলগ্ন গোড়া বুড়বুড়িয়া এলাকায় আবারো বাঘের আক্রমণে একটি গরু মারা গেছে। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে ঘাস খাওয়ার সময় গরুটির উপর আক্রমণ করে একটি বাঘ। এতে ঘটনাস্থলে গরুটি মারা যায়। গরুটি মেরে রেখে বাঘ সুন্দরবনে ফিরে যায়। পরে মরা গরুটি উদ্ধার করে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। এরআগে গত বৃহস্পতিবার ভোরে চিলা ইউনিয়নের বৈদ্যমারী বাজার সংলগ্ন খড়মা নদীর পাড়ে বাঘের আক্রমণে একটি গরু মারা যায়। এছাড়া বুধবার বিকেলে বাঘের আক্রমণের শিকার একটি মায়াবী হরিণ তাড়া খেয়ে বৈদ্যমারী বাজার সংলগ্ন একটি কাকড়া হ্যাচারিতে ঢুকে পড়ে। এভাবেই প্রতিনিয়ত দিনে ও রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বৈদ্যমারী, কাটাখালী ও বুড়বুড়িয়া এলাকায় বাঘ ঢুকে গবাদি পশু মেরে খাচ্ছে এবং নিয়ে যাচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় সুন্দরবন থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে বৈদ্যমারী গ্রামের আবুল বাসার জোমাদ্দের বাড়ির রান্না ঘরের পাশে ঘুরাঘুরি করে কিছুক্ষণ পর একটি কুকুর ধরে নিয়ে চলে যায়। এছাড়া রাত বাড়তে বাঘ ঢুকে পড়ে বিভিন্ন বাড়ি ও ঘরের আঙ্গিনায়। সকালে ঘুম থেকেই উঠে লোকজন দেখছে বাঘের পাড়ার চিহ্ন বিভিন্ন জায়গায় পড়ে রয়েছে। বৈদ্যমারী গ্রামের মো: সামছু, সোহাগ, রুহুল ও ফরিদ বলেন, বাঘের আতঙ্কে সন্ধ্যার পর বাজারে কোন লোকজন থাকে না। এছাড়া রাতে কেউ ভয়ে ঘর থেকেও বের হতে পারে না। বাথরুমের কাজ-কর্ম ঘরের মধ্যেই সারতে হচ্ছে। বন বিভাগের সদস্যদের এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেই। বন বিভাগের বৈদ্যমারী টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: এমদাদ হোসেন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে বৈদ্যমারী এলাকায় বাঘের উৎপাত বেড়ে গেছে। বাঘের আক্রমনে গবাদী পশু মারা পড়ছে। আতঙ্কগ্রস্থ স্থানীয় লোকজনকে বাঘ সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ ও সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি বন বিভাগের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com