প্রকাশিতঃ শনিবার, ০৬ জানুয়ারী ২০১৮ ০৬:১৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
ক্যারিয়ার ভাবনা: অফিসে কাজের ফাঁকে সোশ্যাল মিডিয়া নয়
স্কুল-কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ভাল রেজাল্ট কিংবা সার্টিফিকেট অর্জনই শুধু ক্যারিয়ার গঠন শেষ নয়। এটা ক্যারিয়ারের প্রথম অধ্যায়। আর চাকরি জীবনে প্রবেশের পর ক্যারিয়ার গঠনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়। তাই চাকরি জীবনে ক্যারিয়ারের উন্নতি বা সফলতার জন্যও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। করতে হয় কিছু কাজ। এখানে এমন কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো-
আজকের কাজ আজই শেষ করুন:
অফিসে কাজের চাপ তো সব সময়ই থাকবে। তার মধ্যেই আপনাকে সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে। ফলে গড়িমসি করা বন্ধ করুন। নিজের জন্য একটা ডেডলাইন ঠিক করে নিন। সেই সময়ের মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে, এমনটা স্থির করে ফেলুন। প্রতি দিন কী কী কাজ করতে হবে, তার একটা লিস্ট বানিয়ে নিন। এ বার এক এক করে প্রতিটি কাজ শেষ করুন।
কাজ গুছিয়ে রাখুন:
কাজ করার থেকেও বেশি জরুরি গুছিয়ে কাজ করা। প্রয়োজনে এক দিন আগে থেকেই অফিসের মিটিং, ইভেন্ট-সহ নানা কাজের প্ল্যান করে নিন। এ বার সেই প্ল্যানটি নিজেকে ই-মেল করে রেখে দিন। এতে অফিসে ঠিক কী কী কাজ করতে হবে তার একটা স্পষ্ট ধারণা থাকবে।
প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন:
নিজেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন। সব সময় নিজের ‘কমফর্ট জোন’-এ আটকে থাকবেন না। নতুন কোনও স্কিল শেখার চেষ্টা করুন। ঠিক কোন কোন কাজে আপনি স্বচ্ছন্দ নন, তা ভেবে দেখুন। সেই কাজগুলো করার জন্য নিজেকে মোটিভেট করুন। এ বার সেই কাজগুলো যথাযথ ভাবে করার চেষ্টা করুন। দেখবেন, এক সময় অনেক কাজেই পারদর্শী হয়ে উঠেছেন আপনি।
সহকর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিন:
নিজের কাজের সম্পর্কে সহকর্মীদের মতামতের গুরুত্ব দিতে শিখুন। গঠনমূলক সমালোচনা হলে তাতে আপনার উপকারই হবে। এতে সহকর্মীদের সঙ্গে সখ্যতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাজের কোন দিকগুলোতে উন্নতির প্রয়োজন, তা-ও জানতে পারবেন।
কাজের ফাঁকে সোশ্যাল মিডিয়া নয়:
অফিসের কাজের ফাঁকে ফেসবুকে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গল্পগুজব করা বা ইনস্টাগ্রামে ঘোরাফেরা করা বন্ধ করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যতই অ্যাক্টিভ হোন না কেন, অফিসে ওই পার্সোনাল অ্যাকাউন্টগুলির নোটিফিকেশনগুলি ‘অফ’ করে রাখুন। এতে কাজের মনোনিবেশ করতে পারবেন।
সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখান:
শুধুমাত্র নিজের সুপিরিওর-কেই নয়। সহকর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা দেখান। এতে আপনার প্রতি তাঁদের সম্মান বাড়বে বই কমবে না।