প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৮ ০৬:৫০:৩৪ পূর্বাহ্ন
খাগড়াছড়িতে সৌন্দর্য্য পিপাসুদের ঢল
ঈদ-উল-আজহার টানা ছুটিতে খাগড়াছড়িতে এবার পর্যটকদের ভিড় জমেছে। প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্য ও তর তর করে বয়ে চলা ঝর্ণার উচ্ছ্বলতায় গা ভাসাতে পাহাড়ি কন্যা খাগড়াছড়িতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন লাখো সৌন্দর্য্য পিপাসু পর্যটক।
খাগড়াছড়ির রিছাং ঝর্ণা, তৈদুছড়া ঝরণা, হাজাছড়া ঝর্ণা, আলুটিলার রহস্যময় সড়ঙ্গ, জেলা পরিষদ পার্কের জুলন্ত সেতু, মায়াবিনী লেক, দেবতা পুকুর, জেলার সীমান্ত শহর রামগড়ে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস অথাৎ বিডিআরের বর্তমানে বিজিবি’র ‘জম্ম স্থান’, কৃত্রিম লেক ও রামগড় জুলন্ত সেতুসহ প্রতিটি পর্যটন র্স্পটে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের দেখা মেলে। ফলে অতিরিক্ত পর্যটকের ভারে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।
পরিবহন সমিতির মো. আবু বকর জানান ঈদের পরে খাগড়াছড়িতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। এ চাপ আরো ২ /৩ দিন থাকবে । বর্তমানে চাহিদা অনুসারে আমাদের পরিবহন সংকট রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম নানান দৃশ্য। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি তৈরীর নজরকাড়া হাজারো চিত্র। চারপাশে বিছিয়ে রাখা শুভ্র মেঘের চাদরের নীচে রয়েছে সবুজ বনরাজিতে ঘেরা ঢেউ খেলানো অসংখ্য ছোট-বড় পাহাড়। তার মাঝ দিয়ে চলে গেছে আঁকা-বাঁকা সড়ক।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকদের থাকার-খাওয়ার রয়েছে বহু হোটেল-রেস্টুরেন্ট।
ট্যুরিস্ট পুলিশ খাগড়াছড়ি জোন-এর পরিদর্শক সন্তোষ ধামেই বলেন, খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি পর্যটন স্পর্টে নিয়োগ করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ। ফলে পুরো জেলার পর্যটন ষ্পর্টগুলো নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রয়েছে।
ঢাকা হতে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ৩১৬ কি.মি. ও চট্টগ্রাম থেকে ১০৯ কি.মি.। রাজধানী শহর ঢাকার কমলাপুর, সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, কলাবাগান থেকে সরাসরি অনেক বিলাস বহুল বাসযোগে খাগড়াছড়ি আসতে পারেন আপনি। তবে আসার আগে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে আসতে হবে। অন্যথায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।