প্রকাশিতঃ রোববার, ২৯ আগস্ট ২০২১ ০১:৩৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
তালেবানের শীর্ষ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনজাদার অবস্থান বা তার দৈনন্দিন জীবন নিয়ে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। ধর্মীয় ছুটির দিনে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বার্তা ছাড়া আর কোনো তথ্যই তিনি প্রকাশ্যে আনেননি। কখনো জনসম্মুখেও দেখা যায়নি তালেবানের এই শীর্ষ নেতাকে। ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের সুপ্রিম কমান্ডারের দায়িত্বের পালন করলেও বিশ্ববাসীর কাছে আখুনজাদার পরিচয় বলতে কেবল একটি ছবি।
চলতি মাসের মাঝামাঝি তালেবান দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর ফের আখুনজাদা কোথায় আছেন সেই প্রশ্নটি ঘুরেফিরে আসছে। এমনকি দীর্ঘ দুই দশক পর তালেবান ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর সংগঠনের শীর্ষ কয়েকজন নেতা দেশে ফিরলেও আখুনদাজা আড়লেই রয়ে গেছেন।
তবে শিগগিরই তালেবানের শীর্ষ এই নেতা প্রকাশ্যে আসছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। সম্প্রতি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করা যায়, আমরা শিগগিরই তাকে দেখতে পাবো।
তালেবানের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই যখন এখন প্রকাশ্যে এসেছেন, তখন আখুনজাদাও প্রকাশ্যে আসবেন বলে ধারণা করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এশিয়া প্রোগ্রামের প্রধান লরেল মিলার এএফপিকে জানান, মোল্লা ওমরের মতো আখুনজাদাও নিখুঁত গোপনীয়তা অবলম্বন করছেন। তিনি বলেন, আখুনজাদা তার পূর্বসূরি মোল্লা আখতার মনসুর হত্যার বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে দৃশ্যপটে আবারও হাজির হতে পারেন। এরপর তিনি আবারও দূরে আসবেন। প্রথাগতভাবে তিনি দূর থেকেই তালেবান নিয়ন্ত্রণ করবেন বলেই মনে করছি।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বলেন, বিদেশি সৈন্যরা যত দিন আফগানিস্তানে থাকবেন, তালেবান তাদের জিহাদ অব্যাহত রাখবে। তাদের সর্বোচ্চ নেতাকেও তারা এ কারণেই সামনে নিয়ে আসছে না।
যে সাত নেতার হাতে আফগানিস্তানের দায়িত্ব বর্তাবে বলে মনে করা হচ্ছে আখুনজাদা তাদের অন্যতম। তালেবান নেতা আখতার মানসুর মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ২৫ মে থেকে তিনি তালেবানের সুপ্রিম কমান্ডারের দায়িত্বে রয়েছেন। এদিকে, আখুনজাদার দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে তিনি করোনা আক্রান্ত কিংবা বোমা হামলার মারা গেছেন বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ে।