মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫

প্রকাশিতঃ বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:২৮:৩০ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘে পাল্টাপাল্টি তোপ দাগলেন ট্রাম্প-রুহানি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের দেয়া ভাষণে একে অপরের প্রতি পাল্টাপাল্টি হুমকি ও উপহাস বিনিময় করেছেন। মঙ্গলবারের ভাষণে তেহরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। বিপরীতে রুহানি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র বুদ্ধির দৈন্যতায় ভুগছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের বার্ষিক এ অধিবেশনের ভাষণকে ইরানের দুর্নীতিগ্রস্ত একনায়কতন্ত্রের ওপর আক্রমণে, উত্তর কোরিয়ার প্রশংসা করতে এবং বিশ্বায়নের ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আমেরিকার স্বার্থরক্ষাই যে তার লক্ষ্য তা তুলে ধরতে ব্যবহার করেন। তবে তার ৩৫ মিনিটের ভাষণের বেশিরভাগ অংশজুড়েই ছিল ইরান। দেশটির বিরুদ্ধে পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং সিরিয়া, লেবানন ও ইয়েমেনের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগ আছে ওয়াশিংটনের। ট্রাম্প বলেন, ইরানের নেতারা বিশৃঙ্খলা, মৃত্যু ও ধ্বংসের বীজ বপন করছেন। প্রতিবেশী, সীমানা কিংবা জাতিগুলোর সার্বভৌমত্বের অধিকার কোনো কিছুর প্রতিই শ্রদ্ধা নেই তাদের। অনুচ্চস্বরে ভাষণটি দিলেও এতে ট্রাম্পের আমেরিকা প্রথম নীতিটিই খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। এই নীতির আলোকে তিনি ইরান পরমাণু চুক্তি, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে এবং ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্রগুলোকে তাদের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনায় আরও বেশি ব্যয় না করলে শাস্তি দেয়ার হুমকি দিয়ে বিশ্বের রাজনৈতিক ভারসাম্য বিপর্যস্ত করে দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকার সার্বভৌমত্বকে আমরা কখনই অনির্বাচিত, দায়িত্ববোধহীন, বৈশ্বিক আমলাতন্ত্রের কাছে সমর্পণ করতে পারি না। যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের দ্বারাই শাসিত। আমরা বিশ্বায়নের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছি, দেশপ্রেমের মতবাদকে আলিঙ্গন করেছি। এদিকে রুহানি ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ২০১৫ সালে তেহরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে জাওয়ার তীব্র সমালোচনা করেন। ট্রাম্পের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগের দরকার নেই মন্তব্য করে ইরানি প্রেসিডেন্ট বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরে যাওয়াকে চরিত্রের দোষ হিসেবেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, বহুত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা শক্তিমত্তার নিদর্শন নয়। উল্টো এটি হচ্ছে বুদ্ধির দৈন্যতা। এই বিশ্বাসঘাতকতা মূলত একটি জটিল ও একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত বিশ্বকে বোঝার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা। ইরান প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান যা বলছে, তা স্পষ্ট: যুদ্ধ নয়, নিষেধাজ্ঞা নয়, হুমকি নয়, নয় টিটকারী; কেবল আইন ও এর বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী পদক্ষেপ
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com