প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০ ০১:৩৯:৫২ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কার্যকর বলে প্রকাশিত এক ফলাফলে জানিয়েছেন গবেষকরা। পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটি শতকরা ৯৯ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। সব বয়সের মানুষের শরীরেই ওই পরীক্ষা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, অংশ নেয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জনের দেহেই ভ্যাকসিনটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। বয়স্কদের দেহেও এই ভ্যাকসিন কার্যকর বলে ওই গবেষণায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল।
তবে খবরে আরো জানানো হয়েছে, আগামী বড়দিনের পূর্বে ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা একেবারেই কম। ভ্যাকসিনটি ডেভেলপ করা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের পূর্বে তারা এই ভ্যাকসিনের অনুমোদনের আবেদন জানানোর পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবেন না। ফলে ২০২১ সালের আগে মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে, সেই সম্ভাবনা এখন ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনই এখন পর্যন্ত সবথেকে আলোচিত হয়েছে। একে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসকে জয় করতে বৃটেনের জন্য সবথেকে বড় 'আশা'। বৃটিশ সরকার এরইমধ্যে এই ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ অর্ডারও করেছে। তবে সেটি আর এ বছর মানুষ পাচ্ছে না।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের পরিচালক প্রফেসর অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, বড়দিনের পূর্বেই তাদের ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা পুরোপুরি প্রমাণিত হয়ে যাবে এমন আশা ছিল তার। তবে এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া এবং হাসপাতালগুলোতে এর সরবরাহ চালু করা অক্সফোর্ডের হাতে নেই। ফলে অ্যান্ড্রুর আশঙ্কা, এই ধাপগুলো পার হতে আরো কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে। ফলে আগামী বছর ছাড়া এই ভ্যাকসিন মানুষের কাছে পৌছাচ্ছে না।
এর আগে বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেন। এতে ৫৬০ জনের ওপর চালানো পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করেন বিজ্ঞানীরা। এতে দেখা যায়, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন শতকরা ৯৯ শতাংশ কার্যকর। করোনাভাইরাসে সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বৃদ্ধরা। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তাদের মধ্যে দারুণভাবে কাজ করছে। একইসঙ্গে, এটি প্রয়োগে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মডার্না ও ফাইজারের কার্যকরিতা প্রমানিত হয়েছে। এগুলো শতকরা ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। কার্যকরিতার দিক থেকে তাই আপাতত অক্সফোর্ড এগিয়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও অক্সফোর্ডের চূড়ান্ত ফলাফল জানতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।