বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২

প্রকাশিতঃ বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৯:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন

মাদারীপুরে দুই পুলিশ হত্যায় ২০ জনের যাবজ্জীবন

মাদারীপুরের রাজৈরে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) দুই সদস্যকে হত্যার পর লাশ টুকরা করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার মামলায় ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরো তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে। বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল এক যুগেরও বেশি সময় আগের আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। ২০০৫ সালে সর্বহারা ডাকাত দলের সদস্যদের হাতে খুন হওয়া এসবি’র ওই দুই সদস্যের নাম এসআই মো. আবুল হাসনাইন আজম খান ও মো. কামরুল আলম খান ঠাকুর। এ দুজন মাদারীপুর জেলায় ডিএসবির ডিআইও ও প্রধান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই বছরের ৩ এপ্রিল সর্বহারা ডাকাত দলের সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন তারা। হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জসিম শেখ (পলাতক), মাছিম শেখ (পলাতক), মজনু মাতুব্বর (পলাতক), উজ্জল হাওলাদার (পলাতক), জাফর মাতুব্বর (পলাতক), কুব্বাস মাতুব্বর (পলাতক), দবির মোল্লা, দাদন ফকির (পলাতক), আমির হোসেন শেখ (পলাতক), ফয়েজ শেখ (পলাতক), দিপু ওরফে টিপু বিশ্বাস, বজলু আকন, আজাদ মোল্লা, হেমায়েত মোল্লা (পলাতক), শওকত মোল্লা ওরফে সাগু মেম্বার, মোশারফ শেখ, আশ্রাফ শরীফ, হালিম আকন (পলাতক), মিরাজ শিকদার ও সুমন বাঘা (পলাতক)। চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মোল্লা, শাহাদত আকন, মোতালেব মাতুব্বর ওরফে মতলেব মেম্বার, মাসুদ শিকদার, হেলাল শিকদার ও আসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম ওরফে বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল ওই দুই পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলযোগে শাখার পাড় যাওয়ার পর আসামিরা তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করে। তারা পুলিশ পরিচয় দিলে তাদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর তাদের মোটরসাইকেলসহ শ্রীনদীর দিকে নিয়ে যায়। ট্রলারে উঠিয়ে প্রথমে মোটরসাইকেল নদীতে ফেলে দেয়। এরপর প্রথমে কামরুলকে জবাই করার পর তার মাথা কেটে হাসনাইনের হাতে দেয়। এরপর লাশ টুকরা টুকরা করে কেটে নদীতে ছিটাতে ছিটাতে ট্রলারে এগিয়ে যায়। এরপর হাসনাইনকে একইভাবে হত্যা করে তার লাশও টুকরা টুকরা করে নদীতে ফেলে দেয়। ওই ঘটনায় মাদারীপুর জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ পরিদর্শক আবুল খায়ের মিয়া ৬ এপ্রিল রাজৈর থানায় ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্তের পর ২০০৭ সালের ৬ আগস্ট রাজৈর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একরাম আলী মোল্লা ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৮ সালের ৪ মে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। মামলার বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আর মামলার বিচারকাজ চলাকালে মারা যান ছয় আসামি। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলাম। পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। আসামিপক্ষের আইনজীবী ড. কুতুন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করবো এবং ন্যায়বিচার পাব।
43A Railway Pde Lakemba, NSW 2195
email: editor@amardesh24.com
Copyright © 2016. Allright Reserved amardesh24.com