প্রকাশিতঃ সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন
নির্মাণকাজ ও মাটি ভরাটের ওপর হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা ও মেনিখালী নদী দখল করে নির্মাণকাজ ও মাটি ভরাটের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চরুলসহ এই আদেশ দেন। পরিবেশ ও পানিসম্পদ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও সোনারগাঁয়ের ভূমি কর্মকর্তাসহ ১২ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান খোকন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংবাদ সংযুক্ত করে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে আইনজীবী রিপন বাড়ৈ দুটি রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনে বলা হয়, আইন অমান্য করে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা নদীতে ‘আমান ইকোনমিক জোন’ এবং মেনিখালী নদীতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভরাট ও অবৈধ দখল অব্যাহত রেখেছে।
আইনে এই ধরনের দখলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার সুস্পষ্ট বিধান থাকার পরও স্থানীয় প্রশাসন নীরব থাকায় নদী দখল অব্যাহত আছে।
রোববার আদেশের পর মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রুল জারি ও নদী দখল, ভরাট ও নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকা জরিপ করে দখলকারীদের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে ওই কমিটিকে।
রুলে নদী দখল বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ভরাট করা মাটি ও স্থাপনা অপসারণের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও সিএস-আরএস রেকর্ড অনুযায়ী নদী দুটিকে সংরক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।