প্রকাশিতঃ বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৫২:২৭ পূর্বাহ্ন
গাজীপুরে ভাগ্নিকে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদণ্ড
গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া এলাকার নাজনীন নামের ৭ বছরের এক শিশুকে হত্যার দায়ে মো. রিপন মিয়া (৩৩) নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং রবিউল ও মোজাফ্ফর নামের আরও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রিপন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া এলাকার হাসমত আলীর ছেলে। এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত অপর দুই আসামিরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার ভাটকান্দি গ্রামের মো. রহিমের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০) ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার দিঘিরপাড় এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে মো. মোজাফ্ফর (১৯)। তাদেরকে পাঁচ হাজার জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
জানা যায়, শিশু নাজনীনের মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর নাজনীন শ্রীপুরের চকপাড়ায় নানা হাসমত আলীর বাড়িতে থাকত। গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক রবিউল ইসলাম জানান, জমিজমা–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে রিপন মিয়া তার দুই সহযোগীকে নিয়ে আপন ভাগ্নি নাজমীনকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরদিন নিহত শিশু নাজনীনের মা মোসাম্মৎ আসমা বেগম শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর স্ত্রী মিনুজা বেগম ও নাতনি নাজমীনকে বাড়িতে রেখে হাসমত আলী টাঙ্গাইল বেড়াতে যান। ওই দিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নানির সঙ্গে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা নাজমীনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে উঠানে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মা আছমা বেগম বাদী হয়ে ৩০ অক্টোবর প্রতিবেশী আবদুল করিম, আবদুল কাদির ও আবদুল মোতালেবকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খন্দকার আমিনুর রহমান মামলার তদন্ত করে নিহত শিশুর আপন মামা মো. রিপন মিয়া এবং তার দুই সহযোগী রবিউল ও মোজাফফরকে গ্রেপ্তার করে। এজাহারভুক্ত তিনজনের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে রিপন মিয়াসহ দুই সহযোগী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ ২০১৬ সালে ৬ জানুয়ারি রিপন মিয়া, রবিউল ও মোজাফফরকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে রিপন মিয়া স্বীকার করেন, পূর্বশত্রুতা ও জমিজমা–সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষ করিম গংদের ফাঁসাতেই তিনি তার ভাগ্নিকে হত্যা করেছেন।